ড. ইউনূস: নিজের নয়, জনগণের চাওয়ায় সরকারপ্রধানের দায়িত্ব নিয়েছি

বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, তিনি সরকারপ্রধানের পদে নিজের ইচ্ছায় নয়, বরং দেশের জনগণের চাওয়ার কারণে বসেছেন।

মালয়েশিয়ায় ১১ থেকে ১৩ আগস্ট তিন দিনের রাষ্ট্রীয় সফরের শেষ দিকে দেশটির রাষ্ট্রায়ত্ত বার্তা সংস্থা বারনামাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, এটা আমার নয়, এটা সেসব মানুষের চাওয়া, যারা পরিবর্তন চেয়েছিলেন। তারা যেভাবে চলতে চান, আমি শুধু তাদের সেই পথে চলতে সাহায্য করছি।

ড. ইউনূস জানান, রাজনৈতিক নেতৃত্বের দায়িত্ব নেওয়া কখনোই তার পরিকল্পনার অংশ ছিল না। তিনি নিজেকে নেতা হিসেবে নয়, বরং গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার অভিভাবক হিসেবে দেখেন।

তিনি সতর্ক করে বলেন, অনেকেই এই প্রক্রিয়া ব্যাহত করতে চায়। বাংলাদেশ থেকে বিতাড়িত রাজনৈতিক শক্তিগুলো পুরো ব্যবস্থাকে অস্থিতিশীল করতে চাচ্ছে।

বাংলাদেশে গত দেড় দশকে নতুন ভোটার হওয়া প্রাপ্তবয়স্কদের বিষয়ে তিনি বলেন, কেউ ১০ বছর ধরে অপেক্ষা করেছেন, কেউ ১৫ বছর ধরে। এখন তারা ১৫ বছরের মধ্যে প্রথমবার ভোট দিতে পারবেন।

এই মন্তব্যে জাতীয় পরিবর্তনের প্রত্যাশার প্রতিফলন স্পষ্ট। আগামী ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।

রোহিঙ্গা সংকট মোকাবিলায় বাংলাদেশ আসিয়ানভুক্ত দেশগুলোর পক্ষ থেকে আন্তর্জাতিকভাবে আরও জোরালো পদক্ষেপ চাইছে, বিশেষভাবে মালয়েশিয়ার ভূমিকার ওপর জোর দিচ্ছে ঢাকা।

ড. ইউনূস বলেন, মালয়েশিয়ার রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়ার অভিজ্ঞতা এবং আসিয়ানের নেতৃত্বস্থানীয় অবস্থান একত্রিত হয়ে তাদের অনন্য প্রভাব তৈরি করেছে। তারা চাইলে এই সংকট সমাধানে আঞ্চলিক পর্যায়ে ব্যাপক উদ্যোগ নিতে পারে।

ড. ইউনূস জানান, মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে আরাকান আর্মি ও সরকারি বাহিনীর লড়াইর কারণে রোহিঙ্গা সংকট আরও জটিল হয়ে উঠেছে। শুধু গত ১৮ মাসে ১ লাখ ৫০ হাজার নতুন রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। এর আগে বাংলাদেশে আশ্রিত রোহিঙ্গার সংখ্যা ছিল ১২ লাখ।