অন্তর্বর্তী সরকারের যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়ার ব্যক্তিগত আগ্রহে একটি প্রকল্প পাস হয়েছে—সম্প্রতি গণমাধ্যমে প্রকাশিত এমন খবরকে ‘সম্পূর্ণরূপে অসত্য, ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ বলে অভিহিত করেছে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়। সোমবার (১৮ আগস্ট) এক প্রতিবাদ লিপিতে মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, প্রকাশিত সংবাদটি দুটি ভিন্ন পর্বের প্রকল্পকে মিলিয়ে ভুল তথ্য উপস্থাপন করেছে, যা জনগণের মধ্যে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে।

বাংলাদেশ সরকারের লোগো

মন্ত্রণালয়ের দাবি, প্রকল্পের অনুমোদন প্রক্রিয়াটি এমন যে, সেখানে কোনো ব্যক্তির একক সিদ্ধান্তে প্রভাব বিস্তারের সুযোগ নেই। প্রতিটি প্রকল্প প্রধান উপদেষ্টার সভাপতিত্বে এবং সংশ্লিষ্ট উপদেষ্টাদের উপস্থিতিতে পরিকল্পনা কমিশনের পর্যালোচনার পরই চূড়ান্ত হয়।

প্রকল্পের আকাশ-পাতাল ফারাক: ৫১ লাখ বনাম ১৪ কোটি

প্রতিবাদ লিপিতে মন্ত্রণালয় দুটি প্রকল্পের মধ্যেকার বিশাল পার্থক্য তুলে ধরেছে। সংবাদে যেটিকে ‘৫১ লাখ টাকার স্টেডিয়াম’ বলা হয়েছে, তা মূলত ‘উপজেলা পর্যায়ে মিনি স্টেডিয়াম নির্মাণ- প্রথম পর্যায়’ প্রকল্পের অংশ। ওই প্রকল্পে ১৩১টি স্টেডিয়ামের প্রতিটির গড় ব্যয় ছিল প্রায় ৫৩.৫২ লাখ টাকা, যা সরকারি খাসজমিতে নির্মিত হয়েছিল। সেগুলোর অবকাঠামো ছিল সীমিত—কেবল একতলা প্যাভিলিয়ন, টয়লেট ও মাঠ উন্নয়ন।

বিপরীতে, বর্তমান প্রকল্পটি হলো ‘উপজেলা পর্যায়ে মিনি স্টেডিয়াম নির্মাণ- দ্বিতীয় পর্যায় (প্রথম সংশোধিত)’। এই প্রকল্পের আওতায় ১২৩টি উপজেলায় স্টেডিয়াম নির্মিত হচ্ছে, যার প্রতিটির গড় ব্যয় ১৪ কোটি ২০ লাখ টাকা। এই বিপুল ব্যয় বৃদ্ধির পেছনে রয়েছে জমি অধিগ্রহণ এবং ব্যাপক অবকাঠামোগত উন্নয়ন।

দ্বিতীয় পর্যায়ের প্রতিটি স্টেডিয়ামে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে:

  • গড়ে ৩ কোটি ৩৮ লাখ টাকা ব্যয়ে জমি অধিগ্রহণ।
  • তিন তলাবিশিষ্ট আধুনিক প্যাভিলিয়ন ভবন।
  • এক হাজার দর্শক ধারণক্ষমতার ৩০০ ফুট দীর্ঘ গ্যালারি।
  • সীমানা প্রাচীর, ড্রেনেজ ব্যবস্থা, সংযোগ সড়ক এবং সোলার প্যানেল।

মন্ত্রণালয় স্পষ্ট করে বলেছে, দুটি প্রকল্পের নকশা, বাজেট এবং সুযোগ-সুবিধার মধ্যে কোনো তুলনাই চলে না।

কীভাবে এবং কেন বাড়ল ব্যয়?

অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পর ‘উপজেলা পর্যায়ে শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়াম নির্মাণ’ প্রকল্পের নাম পরিবর্তন করে ‘উপজেলা পর্যায়ে মিনি স্টেডিয়াম প্রকল্প’ রাখে। পরিকল্পনা কমিশনের প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটির (পিইসি) সুপারিশের ভিত্তিতেই এর ব্যয় চূড়ান্ত করা হয়।

ব্যয় পর্যালোচনার জন্য গঠিত একটি কমিটি পিডাব্লিউডির ২০১৮ সালের রেট শিডিউলের পরিবর্তে ২০২২ সালের হালনাগাদ রেট শিডিউল অনুযায়ী খরচ নির্ধারণ করে, যা ব্যয় বৃদ্ধির অন্যতম কারণ। এছাড়া জমি অধিগ্রহণ, গ্যালারি ও সীমানা প্রাচীর নির্মাণের মতো নতুন অনুষঙ্গ যুক্ত হওয়ায় প্রকল্পের মোট ব্যয় বেড়েছে।

মন্ত্রণালয় তাদের বিবৃতিতে আরও উল্লেখ করে, ‘এ ধরনের অসত্য সংবাদ প্রকল্প সংশ্লিষ্টদের পেশাগত সম্মানহানি করে এবং রাষ্ট্রীয় উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের প্রতি জনগণের অনাস্থা তৈরির ঝুঁকি সৃষ্টি করে।’

গুগল নিউজে আমাদের প্রকাশিত খবর পেতে এখানে ক্লিক করুন...

খেলাধুলা, তথ্য-প্রযুক্তি, লাইফস্টাইল, দেশ-বিদেশের রাজনৈতিক বিশ্লেষণ সহ সর্বশেষ খবর

Stay up-to-date with the latest news from Bangladesh. Our comprehensive coverage includes politics, business, sports, and culture. Get breaking news, analysis, and commentary on the issues that matter most to Bangladeshis and the international community.

Bangladesh is a country located in South Asia and is home to a diverse population of over 160 million people. It has a rich cultural heritage and a rapidly growing economy. News from Bangladesh covers a wide range of topics, including politics, economics, social issues, culture, and more. The country has made significant progress in recent years in areas such as poverty reduction, education, and healthcare. However, it still faces challenges such as corruption and environmental degradation. Bangladeshi news sources cover both local and international news to keep the public informed about the latest developments and events.