স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা: একটি নিষ্ক্রিয় রাজনৈতিক দল নির্বাচন চাইছে না

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, একটি রাজনৈতিক দল, যা বর্তমানে কোনো কার্যক্রমে সক্রিয় নয়, জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হোক তা চায় না। রবিবার (৩১ আগস্ট) আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত কোর কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ মন্তব্য করেন।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নে সাম্প্রতিক সময়ে গণঅধিকার পরিষদ ও জাতীয় পার্টির মধ্যে সংঘর্ষ কি নির্বাচনী প্রক্রিয়া ব্যাহত করার চেষ্টা কিনা জবাবে তিনি এ কথা জানান।

উপদেষ্টা বলেন, সাম্প্রতিক অস্থিরতার পেছনেও ওই রাজনৈতিক দলের প্ররোচনা থাকতে পারে। তবে তিনি কোনো দলের নাম উল্লেখ করেননি।

তিনি আরও বলেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী নিশ্চিত করতে কাজ করছে যাতে কোনোভাবেই নির্বাচন ব্যাহত না হয়।

জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ফ্যাসিবাদী শাসনের পতনের পর রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে যে ঐক্য গড়ে উঠেছে তা ধরে রাখতে হবে। নীতি, মতাদর্শ বা রাজনৈতিক অবস্থানে ভিন্নতা থাকলেও ব্যক্তিগত ও দলীয় স্বার্থের ঊর্ধ্বে উঠে জাতীয় স্বার্থে এবং গণতান্ত্রিক উত্তরণের স্বার্থে ঐক্য বজায় রাখা জরুরি। অন্যথায় ফ্যাসিবাদী শক্তি সুযোগ নিয়ে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে পারে।

আগামী জাতীয় নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, নির্বাচন কতটা সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরাপদ হবে, তা অনেকাংশেই অংশগ্রহণকারী রাজনৈতিক দলগুলোর আচরণের ওপর নির্ভর করছে।

তিনি আশ্বাস দিয়ে বলেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সর্বোচ্চ সহযোগিতা দিচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকবে। সব পক্ষের সহযোগিতার মাধ্যমেই একটি সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ ও উৎসবমুখর নির্বাচন সম্ভব, যোগ করেন তিনি।

তিনি আরও বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে ঢাকা ও আশপাশের এলাকায় ১২৩টি সংগঠন মিলে ১,৬০৪টি অবরোধ কর্মসূচি পালন করেছে। এসব অবরোধে জনদুর্ভোগ বেড়েছে।

জনগণের দাবিদাওয়া আছে, প্রতিবাদের অধিকার আছে। কিন্তু তা যেন জনদুর্ভোগ সৃষ্টি না করে উল্লেখ করে তিনি বলেন, অবরোধ না দিয়ে নির্দিষ্ট স্থান যেমন সোহরাওয়ার্দী উদ্যান বা উন্মুক্ত ময়দানে এ ধরনের কর্মসূচি পালন করা উচিত।

আজকের বৈঠকে জাতীয় নির্বাচনের পাশাপাশি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচন, জুলাই মাসের ঘটনার মামলার অগ্রগতি, মাদক নিয়ন্ত্রণ এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভুয়া সংবাদ ছড়ানোর বিষয়েও আলোচনা হয় বলে জানান উপদেষ্টা।