জুলাই আন্দোলনে আহতদের বিনামূল্যে ফ্ল্যাট দিবে সরকার

গত বছরের জুলাই আন্দোলনে আহত বা অক্ষম হয়ে পড়া ব্যক্তিদের জন্য রাজধানীর মিরপুর সেকশন-৯ এ ১,৫৬০টি আবাসিক ফ্ল্যাট নির্মাণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় এই প্রকল্পের প্রস্তাবনা অনুমোদনের জন্য পরিকল্পনা কমিশনে জমা দিয়েছে, কমিশনের সূত্রে জানানো হয়েছে।

প্রস্তাব অনুযায়ী, প্রকল্পটির মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ১,৩৪৪.৪১ কোটি টাকা, যা পুরোপুরি সরকারি তহবিল থেকে অর্থায়ন হবে। নির্মাণ কাজ জুলাই ২০২৫ থেকে শুরু হয়ে জুন ২০২৯ এ শেষ হওয়ার আশা করা হচ্ছে।

ফ্ল্যাটগুলো মিরপুর হাউজিং এস্টেটের ন্যাশনাল হাউজিং অথরিটির জমিতে নির্মিত হবে। প্রকল্পে ১৫টি বহু-তলা ভবন থাকবে, প্রতিটি ভবনে বেসমেন্টসহ ১৪টি তলা থাকবে। বেসমেন্ট ও ভোক্তি তলায় গাড়ি পার্কিং সুবিধা, আর উপরের তলাগুলোতে প্রতি তলায় আটটি করে ফ্ল্যাট থাকবে।

প্রতিটি ফ্ল্যাট হবে ১,৩২০ বর্গফুট, যেখানে তিনটি বাথরুম, পর্যাপ্ত আলো-বাতাস, এবং সিসিটিভি সুরক্ষা থাকবে।

প্রকল্পে আরও থাকবে – আরসিসি বেড়িবাঁধ, গাড়ি পার্কিং, লিফট, সাব-স্টেশন ও জেনারেটর, সোলার সিস্টেম, ফায়ার হাইড্র্যান্ট, ইন্টারকম সিস্টেম, বজ্রপাত প্রতিরোধ ব্যবস্থা, খেলার মাঠ এবং পার্ক।

পরিকল্পনা কমিশনের প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটি (পিইসি) ফ্ল্যাট ডিজাইনে কিছু পরিবর্তনের সুপারিশ করেছে, যেমন – প্রতি ফ্ল্যাটে তিনটি বাথরুম, বৃক্ষরোপণ ও উচ্ছেদ খরচ বাদ দেওয়া, ১২টি ক্রয় ও ১২টি কাজের প্যাকেজ নির্ধারণ।

এর আগে, ২৭ জুলাই জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটিতে জুলাই শহীদদের পরিবারের জন্য ফ্ল্যাট প্রকল্প উপস্থাপন করা হয়েছিল, তবে তা পুনঃমূল্যায়নের জন্য ফেরত দেওয়া হয়। পুরোনো প্রস্তাবে মিরপুর-১৪-এ ছয়টি ১৪-তলা এবং দশটি ১০-তলা ভবন অন্তর্ভুক্ত ছিল, যার মোট ব্যয় ধরা হয়েছিল ৭৬১ কোটি টাকা।

পরিকল্পনা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ জানান, বিভিন্ন মন্ত্রণালয় জুলাই আন্দোলন কেন্দ্রিক একাধিক প্রকল্প প্রস্তাব করছে। সরকার সব প্রস্তাব একত্রিত করে ফিজিবিলিটি স্টাডির মাধ্যমে অগ্রাধিকার নির্ধারণ করবে এবং ধাপে ধাপে অনুমোদন প্রদান করবে। প্রস্তাবিত প্রকল্পের ব্যয়, এই হাউজিং প্রকল্পসহ, চূড়ান্ত অনুমোদনের আগে সুনির্দিষ্টভাবে মূল্যায়ন করা হবে।