জাকসু নির্বাচন: ভিপি আব্দুর রশিদ জিতু, জিএস মাজহারুল ইসলাম

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জাকসু) নির্বাচনে সহসভাপতি (ভিপি) পদে নির্বাচিত হয়েছেন ‘স্বতন্ত্র শিক্ষার্থী সম্মিলন’ এর প্রার্থী আব্দুর রশিদ জিতু। সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদে জয় পেয়েছেন শিবির-সমর্থিত ‘সমন্বিত শিক্ষার্থী জোট’ এর মাজহারুল ইসলাম।

শনিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) বিকেলে প্রায় ৫০ ঘণ্টা ধরে ভোটগ্রহণ ও গণনা শেষে প্রধান নির্বাচন কমিশনার প্রফেসর মো. মনিরুজ্জামান এই ফলাফল ঘোষণা করেন।

ভিপি পদে জিতু পেয়েছেন ৩,৩২৪ ভোট, তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সমন্বিত শিক্ষার্থী জোটের আরিফ উল্লাহ পেয়েছেন ২,৩৭৯ ভোট।

জিএস পদে মাজহারুল ইসলাম পেয়েছেন ৩,৯৩০ ভোট, তার প্রতিদ্বন্দ্বী ঐক্য ফোরামের আবু তৌহিদ সিয়াম পেয়েছেন ১,২৩৮ ভোট।

যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক (পুরুষ) পদে জয়ী হয়েছেন ফেরদৌস আল হাসান (২,৩৫৮ ভোট) এবং যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক (নারী) পদে বিজয়ী হয়েছেন আয়েশা সিদ্দিকা মেঘলা (৩,৪০২ ভোট)।

৩৩ বছর পর অনুষ্ঠিত এই নির্বাচনে মোট ভোটার ছিল ১১,৮৯৭ জন। ভোট পড়েছে প্রায় ৬৮ শতাংশ। জাকসুর মোট ২৫টি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন ১৭৭ প্রার্থী। এছাড়া ২১টি হল সংসদের ৩১৫টি পদের জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন ৪৪৩ জন।

নির্বাচনের আগেই নানা অনিয়মের অভিযোগ ওঠে, যার মধ্যে রয়েছে- জামায়াত-সংশ্লিষ্ট কোম্পানি থেকে ব্যালট ও ওএমআর মেশিন সরবরাহ, পোলিং এজেন্টদের প্রবেশে বাধা, ডোপ টেস্টের ফলাফল প্রকাশ না করা এবং নির্বাচন ম্যানিপুলেটের অভিযোগ।

ছাত্রদল-সমর্থিত প্যানেল ভোটগ্রহণ শেষ হওয়ার আগেই নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দেয়। পরে ছাত্র ইউনিয়ন (একাংশ), সংশপ্তক পর্ষদসহ আরও কয়েকটি প্যানেল এবং স্বতন্ত্র প্রার্থীও বর্জনে যোগ দেন।

ওএমআর মেশিন ব্যবহারের বিতর্কে শেষ পর্যন্ত হাতে ব্যালট গোনার সিদ্ধান্ত নেওয়ায় ভোট গণনায় ব্যাপক দেরি হয়। বৃহস্পতিবার রাত ১০টার পর সিনেট ভবনে কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে গণনা শুরু হয়। প্রায় ২৪ হাজার ব্যালট হাতে গোনার ফলে শনিবার বিকেলে ফলাফল ঘোষণা সম্ভব হয়।

নির্বাচনী দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন গণিত বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক নজরুল ইসলাম, অধ্যাপক নাহরিন ইসলাম ও অধ্যাপক শামিমা সুলতানা। শুক্রবার রাতে নির্বাচন কমিশনের সদস্য অধ্যাপক মাফরুহী সাত্তারও অনিয়মের অভিযোগ তুলে দায়িত্ব ছেড়ে দেন।