আসন পুনর্বিন্যাস: ফরিদপুরে থানায় অগ্নিসংযোগ, সরকারি কার্যালয় ভাঙচুর

ফারিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলায় আসনসীমা পুনর্নির্ধারণ ও পুলিশের করা মামলার প্রতিবাদে বিক্ষুব্ধরা ভাঙ্গা থানায় অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুর চালিয়েছে। একইসঙ্গে উপজেলা নির্বাচন অফিস এবং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কার্যালয়েও হামলা ও ভাঙচুর করা হয়। সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) ওই উপজেলায় এসব ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দুপুর ১টার দিকে ভাঙ্গা উপজেলা শহরের বিভিন্ন স্থানে এ হামলা ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। বিক্ষোভকারীরা থানাকে ঘেরাও করে এবং একাধিক পুলিশ গাড়ি ভাঙচুর করে আগুন ধরিয়ে দেয়।

সকাল থেকেই ঢাকা–খুলনা মহাসড়কে শান্তিপূর্ণভাবে অবস্থান নেন স্থানীয়রা। তবে দুপুরে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এবং বিক্ষোভকারীরা দলবদ্ধভাবে থানায় হামলা চালান।

নির্বাচন কমিশন (ইসি) ৪ সেপ্টেম্বর ৩০০ আসনের চূড়ান্ত গেজেট প্রকাশ করে। তাতে ফারিদপুর-৪ আসন থেকে ভাঙ্গার আলগী ও হামিরদী ইউনিয়ন কেটে ফারিদপুর-২ আসনে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। এর প্রতিবাদে ভাঙ্গার স্থানীয়রা একাধিক কর্মসূচি পালন করে আসছেন। গতকাল থেকে তিন দিনের ভোর-সন্ধ্যা সড়ক ও রেলপথ অবরোধ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।

গতকাল রাতে ভাঙ্গা থানায় মামলা হয়েছে ৯০ জনের নাম উল্লেখ করে এবং আরও ১০০–১৫০ জন অজ্ঞাতনামার বিরুদ্ধে। মামলার আসামিদের মধ্যে রয়েছেন আলগী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও সর্বদলীয় সংগ্রাম পরিষদের সমন্বয়ক এম এম সিদ্দিক মিয়া।

সিদ্দিক মিয়াকে শনিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) রাতে নগরকান্দা থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। মামলায় অভিযোগ করা হয়, সিদ্দিক মিয়ার নেতৃত্বে বিক্ষোভকারীরা মহাসড়ক অবরোধ, গাছ ফেলা, টায়ারে আগুন এবং যান চলাচলে বাধা দেয়।

গতকাল স্বরাষ্ট্রবিষয়ক উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী সাংবাদিকদের বলেন, সড়ক ও রেল অবরোধ সহ্য করা হবে না। বিকেলের মধ্যে অবরোধ তুলে না নিলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ব্যবস্থা নেবে।

এদিকে আজ সকালে পুলিশ জানায়, মহাসড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে এবং গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলোতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।