ইউক্রেনে রুশ হামলা, আকাশে পোল্যান্ডের যুদ্ধবিমান

ইউক্রেনজুড়ে রাশিয়ার ব্যাপক ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলার পর পোল্যান্ড তাদের যুদ্ধবিমান উড্ডয়ন করেছে। ন্যাটো জোটের পূর্বাঞ্চলে আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা জোরদারের অংশ হিসেবে রোববার ভোরে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়।

পোল্যান্ডের সশস্ত্র বাহিনীর অভিযান পরিচালনাকারী কমান্ড সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্সে জানায়, স্থানীয় সময় ভোর ৪টার দিকে পোলিশ ও মিত্র জোটের বিমানগুলো তাদের আকাশসীমা সুরক্ষিত করতে এবং নাগরিকদের সুরক্ষায় উড্ডয়ন করে। কমান্ডের পক্ষ থেকে আরও বলা হয়, ‘এই অভিযানগুলো প্রতিরোধমূলক এবং এর লক্ষ্য আকাশসীমা সুরক্ষিত রাখা ও নাগরিকদের রক্ষা করা।’ প্রায় চার ঘণ্টা পর এই সতর্কতা তুলে নেওয়া হয় এবং পোল্যান্ডের আকাশসীমা লঙ্ঘনের কোনো ঘটনা ঘটেনি বলে জানানো হয়েছে। এই সময় রেশুভ ও লুবলিন বিমানবন্দরের কাছের আকাশসীমা বন্ধ রাখা হয়েছিল।

কমান্ডের পোস্টে আরও বলা হয়, ‘ইউক্রেনের ভূখণ্ডে হামলা পরিচালনাকারী রুশ ফেডারেশনের দূরপাল্লার বিমানের তৎপরতার কারণে পোলিশ এবং মিত্র দেশগুলোর বিমান আমাদের আকাশসীমায় কার্যক্রম শুরু করেছে।’ এর প্রতিক্রিয়ায় যুদ্ধবিমানের জোড়া এবং ভূমি থেকে আকাশে নিক্ষেপযোগ্য প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সর্বোচ্চ সতর্কাবস্থায় রাখা হয়। ইউক্রেনের গণমাধ্যমগুলো জানায়, ইরানের তৈরি শাহেদ ড্রোনসহ রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোনের ঝাঁক কিয়েভসহ বিভিন্ন শহরে আঘাত হেনেছে।

রুশ হুমকির বিরুদ্ধে আকাশ, স্থল এবং সামুদ্রিক প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা একীভূত করতে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) তার পরিকল্পিত ‘ড্রোন প্রাচীর’ বা ‘ইস্টার্ন ফ্ল্যাঙ্ক গার্ড’ ব্যবস্থা এগিয়ে নেওয়ার প্রেক্ষাপটে এই সতর্কতা জারি করা হলো। রাশিয়ার আকাশসীমা লঙ্ঘন নিয়ে আলোচনার জন্য শনিবার ন্যাটো সদস্য দেশগুলোর ৩২ জন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রিগায় বৈঠকে বসেন। এস্তোনিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী মারগুস সাহকনা জানান, মস্কো এই বছর চারবার তাদের আকাশসীমা লঙ্ঘন করেছে। শুক্রবার তিনটি রুশ মিগ-৩১ যুদ্ধবিমান ফিনল্যান্ড উপসাগরের ভাইন্দলু দ্বীপের কাছে এস্তোনিয়ার আকাশে প্রবেশ করে। তবে মস্কো ইচ্ছাকৃতভাবে আকাশসীমা লঙ্ঘনের অভিযোগ অস্বীকার করে জানিয়েছে, পোল্যান্ড ও রোমানিয়ায় এর আগে ড্রোনের প্রবেশ দুর্ঘটনাজনিত ছিল।