ইলিশের দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থতা, দুঃখ প্রকাশ মৎস্য উপদেষ্টার

ইলিশের চড়া দামের কারণে সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে চলে যাওয়া এই মাছের মূল্য নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থতার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফরিদা আখতার। তিনি জানিয়েছেন, ইলিশের দাম নিয়ে আপাতত কোনো সুখবর দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। সোমবার সচিবালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

ফরিদা আখতার বলেন, ‘বাজারে দাম কমাতে না পারাটা আমারও কষ্টের কারণ। আমি কোনো আত্মপক্ষ সমর্থন করব না। ব্যর্থতা বলতে চাইলে বলতে পারেন।’ তবে দাম নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হচ্ছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।

বর্তমানে ঢাকার বাজারে ৪০০ থেকে ৬০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ প্রতি কেজি ১ হাজার থেকে ১ হাজার ৩৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ৭০০ থেকে ৯০০ গ্রামের ইলিশের দাম পড়ছে ১ হাজার ৪০০ থেকে ১ হাজার ৭০০ টাকা। আর ৯০০ গ্রামের বেশি ওজনের ইলিশের জন্য গুনতে হচ্ছে ১ হাজার ৮০০ থেকে ২ হাজার ৫০০ টাকা পর্যন্ত। ঢাকা ছাড়াও বরিশাল, চট্টগ্রাম ও ময়মনসিংহের বাজারগুলোতেও ইলিশের দাম চড়া বলে জানানো হয়।

মৎস্য উপদেষ্টা জানান, শুধু মা ইলিশ রক্ষা করে ইলিশের প্রাপ্যতা বাড়ছে না, এর পেছনে আরও অনেক কারণ রয়েছে। সরকার প্রকৃত সমস্যা খুঁজে বের করতে গবেষণা চালাচ্ছে এবং আশা করা হচ্ছে, ভবিষ্যতে পরিস্থিতি উন্নত হবে।

এদিকে, এ বছর দুর্গাপূজা উপলক্ষে ভারতে ১০৩ টন ইলিশ রপ্তানি করা হয়েছে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় প্রতি কেজি ইলিশের রপ্তানি মূল্য ১২ দশমিক ৫০ ডলার নির্ধারণ করেছে। উপদেষ্টা জানান, গত ১৮ থেকে ২৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে ২২ মেট্রিক টনের বেশি ইলিশ রপ্তানি হয়, যার বাজারমূল্য প্রায় ৩ কোটি ৩৮ লাখ টাকা।

‘মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান ২০২৫’ উপলক্ষে আয়োজিত এই সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ইলিশের প্রধান প্রজনন মৌসুম উপলক্ষে আগামী ৪ থেকে ২৫ অক্টোবর পর্যন্ত মোট ২২ দিন সারাদেশে ইলিশ আহরণ, ক্রয়-বিক্রয়, পরিবহন ও মজুত নিষিদ্ধ থাকবে। এই সময়ে জেলেদের সহায়তার জন্য ৩৭টি জেলার ১৬৫টি উপজেলার ৬ লাখ ২০ হাজার জেলে পরিবারকে ভিজিএফ কর্মসূচির আওতায় মোট সাড়ে ১৫ হাজার টন চাল দেওয়া হবে।