ইউক্রেন যুদ্ধ থামাতে পারে একমাত্র বেইজিং!

পোল্যান্ডের পররাষ্ট্রমন্ত্রী রাদোস্লাভ সিকোর্সকি মন্তব্য করেছেন, ইউক্রেনের চলমান যুদ্ধ থামাতে একমাত্র চীনই কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে। তার মতে, মস্কোর ওপর যথেষ্ট প্রভাব রাখা একমাত্র বৈশ্বিক শক্তি হলো বেইজিং, যারা এই সংঘাতের অবসান ঘটাতে সক্ষম। সোমবার ওয়ারশতে অনুষ্ঠিত ‘ওয়ারশ ফোরাম’ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

সিকোর্সকি বলেন, ‘আমি ব্যক্তিগতভাবে বিশ্বাস করি, এ যুদ্ধ থামাতে চীনই একমাত্র দেশ যারা সত্যিকারের চাপ প্রয়োগ করতে পারে। কারণ রাশিয়া এখন চীনের ওপর এতটাই নির্ভরশীল যে, এটি একটি অত্যন্ত শক্তিশালী চাপের উৎস হয়ে দাঁড়িয়েছে। তবে প্রশ্ন হলো, চীন আদৌ সেই চাপ প্রয়োগ করতে আগ্রহী কি না।’

তিনি জানান, চীনা কর্মকর্তারা ইউক্রেনে যুদ্ধবিরতির পক্ষে তাদের অবস্থানের কথা জানিয়েছেন। তবে এই অবস্থানকে বাস্তবে রূপ দেওয়ার জন্য তিনি বেইজিংয়ের প্রতি আহ্বান জানান।

এদিকে, একই সম্মেলনে ফ্রান্সের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জ্যঁ-নোয়েল বারো বলেন, ইউক্রেন যুদ্ধ ইউরোপের নিরাপত্তা দৃষ্টিভঙ্গিকে মৌলিকভাবে বদলে দিয়েছে। এই পরিস্থিতি মহাদেশটিকে এমন এক ভবিষ্যতের জন্য প্রস্তুত হতে বাধ্য করছে, যেখানে নিরাপত্তার জন্য শুধু বাইরের শক্তির ওপর নির্ভর করে থাকা যাবে না। তিনি আরও বলেন, ‘আমরা এখন আমাদের নিরাপত্তার দায়িত্ব নিজেদের হাতে তুলে নিতে প্রস্তুত।’

রাশিয়ার সাম্প্রতিক কর্মকাণ্ডকে ‘অসমর্থনযোগ্য উসকানি’ হিসেবে অভিহিত করে ফরাসি পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, যুদ্ধক্ষেত্রে নিজেদের ব্যর্থতা থেকে নজর সরাতে এবং ইউক্রেনের প্রতি ইউরোপীয় দেশগুলোর সমর্থন দুর্বল করতে রাশিয়া বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে। তবে তিনি জোর দিয়ে বলেন, ‘তাদের এ কৌশল পুরোপুরি বুমেরাং হয়েছে, কারণ এটি ইউরোপীয়দের মধ্যে ইউক্রেনের জন্য আরও বেশি সমর্থন তৈরি করেছে।’

জার্মানি, ফ্রান্স ও পোল্যান্ড যৌথভাবে ন্যাটো মিত্রদের বিরুদ্ধে ‘শত্রুতাপূর্ণ কার্যকলাপ’ বন্ধ করতে রাশিয়ার প্রতি আহ্বান জানিয়েছে। একই সঙ্গে তারা হুঁশিয়ারি দিয়েছে, রুশ যুদ্ধবিমানের ইউরোপীয় আকাশসীমা লঙ্ঘনের ঘটনা ভবিষ্যতে গুরুতর উত্তেজনা সৃষ্টি করতে পারে। তবে রাশিয়া এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বিষয়টিকে ‘রাশিয়াবিদ্বেষী’ প্রচারণা বলে আখ্যা দিয়েছে।