ডিসেম্বরেই রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের ট্রায়াল অপারেশন শুরু

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি এবং অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ জানিয়েছেন, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে ডিসেম্বর থেকে পরীক্ষামূলক উৎপাদন (ট্রায়াল অপারেশন) শুরু হবে। ইতোমধ্যে বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য জ্বালানি দেশে পৌঁছেছে।

মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের কার্যালয়ে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, আমরা চাইছিলাম নভেম্বরে চালু হোক। তবে রাশিয়া জানিয়েছে, ডিসেম্বরেই ট্রায়াল অপারেশন শুরু হবে।

সালেহউদ্দিন বলেন, আন্তর্জাতিক পারমাণবিক শক্তি সংস্থার (আইএইএ) একটি দল ইতোমধ্যে রূপপুর কেন্দ্র পরিদর্শন করে কিছু সুপারিশ দিয়েছে। সেগুলো বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। তিনি বলেন, তারা আবার আসবেন চূড়ান্ত অনুমোদন দিতে।

২৭ আগস্ট সমাপ্ত আইএইএর প্রি-অপারেশনাল সেফটি রিভিউ টিম (প্রি-ওসার্ট) মিশনের মূল্যায়নে বলা হয়, রূপপুর প্রকল্প অপারেশনাল সেফটির ক্ষেত্রে শক্তিশালী অঙ্গীকার প্রদর্শন করেছে।

পাবনার পদ্মার তীরে অবস্থিত রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে দুটি রাশিয়ান ভিভিইআর-১২০০ রিয়্যাক্টর স্থাপন করা হচ্ছে। উভয় ইউনিট চালু হলে জাতীয় গ্রিডে ২৪০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ যোগ হবে। ২০১৭ সালে ইউনিট-১ ও ২০১৮ সালে ইউনিট-২ এর নির্মাণকাজ শুরু হয়।

স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ শোজিব ভূঁইয়া গত জুনে এক ফেসবুক পোস্টে জানিয়েছিলেন, চলতি বছরের ডিসেম্বরে রূপপুর কেন্দ্র থেকে জাতীয় গ্রিডে বিদ্যুৎ যুক্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

এদিকে, প্রকল্প বাস্তবায়নে বিলম্ব হওয়ায় রাশিয়ার ঋণ বিতরণ সময়সীমা ২০২৭ সাল পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। এ বিষয়ে গত ১৪ জুলাই ‘প্রোটোকল-২’ সই হয়। এর আওতায় ঋণের কিস্তি পরিশোধ শুরু হবে ২০২৮ সালের সেপ্টেম্বরে আগে যা নির্ধারিত ছিল ২০২৭ সালের মার্চে।

রূপপুর প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ১২.৬৫ বিলিয়ন ডলার। এর মধ্যে রাশিয়া ৯০ শতাংশ বা প্রায় ১১.৩৮ বিলিয়ন ডলার ঋণ দিয়েছে এবং বাংলাদেশ নিজস্ব তহবিল থেকে দিচ্ছে ১০ শতাংশ।

সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, কেন্দ্র থেকে প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের দাম এখনো নির্ধারণ হয়নি।