জাতীয় নির্বাচনের আগে নভেম্বরেই গণভোট চায় জামায়াত, ইসির কাছে প্রস্তাব

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে নভেম্বরে একটি গণভোট আয়োজনের প্রস্তাব দিয়েছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। দলটি মনে করছে, সংসদ নির্বাচন পরিচালনায় অভিজ্ঞতা অর্জনের জন্য এই গণভোট আয়োজন করা যেতে পারে।

সোমবার (১৩ অক্টোবর) দুপুরে আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে জামায়াতের নায়েবে আমির সৈয়দ আব্দুল্লাহ মো. তাহেরের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এএমএম নাসির উদ্দিন, চার নির্বাচন কমিশনার এবং ইসি সচিবের সঙ্গে বৈঠক করেন।
প্রায় তিন ঘণ্টাব্যাপী এই বৈঠকে দলটি ভোটার তালিকা, প্রবাসী বাংলাদেশিদের ভোট প্রক্রিয়া, এনআইডি, পিআর পদ্ধতি, রিটার্নিং অফিসার নিয়োগ এবং গণভোট আয়োজন সংক্রান্ত বিভিন্ন প্রস্তাব ও পর্যবেক্ষণ তুলে ধরে।

বৈঠকের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় তাহের বলেন, আমরা চাই, জাতীয় নির্বাচনের আগে নভেম্বরে গণভোট হোক। অতীতে ১০, ১৭ বা ২১ দিনের ব্যবধানেও গণভোট অনুষ্ঠিত হয়েছে। জাতীয় নির্বাচনের দিন একই সঙ্গে গণভোট আয়োজন ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে। যদি একসঙ্গে করা হয় এবং কোনো সমস্যা হয়, তাহলে দুটোই প্রভাবিত হবে।

তিনি আরও বলেন, আলাদাভাবে গণভোট আয়োজন করলে এটি সহজ এবং ইসি ব্যবহারিক অভিজ্ঞতা অর্জন করতে পারবে।

জামায়াতের এই নেতা বলেন, গণভোট আয়োজন সহজ ও স্বল্পব্যয়ী। বিদ্যমান ব্যালট বাক্স ব্যবহার করা যাবে, অতিরিক্ত খরচ শুধু ব্যালটপেপার, কালি ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের খাবারের জন্য। জাতীয় নির্বাচনের সঙ্গে একসঙ্গে করলে সাধারণ ভোটাররা সংসদ নির্বাচনে ব্যস্ত থাকায় গণভোটের গুরুত্ব কমে যাবে। আলাদা করলে মানুষ তা গুরুত্বসহকারে গ্রহণ করবে।

তাহের বলেন, গণভোট আয়োজন বিষয়ে সরকার সিদ্ধান্ত নিলে তা বাস্তবায়নের জন্য নির্বাচন কমিশন প্রস্তুত।