চাঞ্চল্যকর তথ্য: অভিবাসন সংস্থার হাতে ১৭০ মার্কিন নাগরিক আটক
- Details
- by আন্তর্জাতিক ডেস্ক
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদের প্রথম নয় মাসে যুক্তরাষ্ট্রের অভিবাসন সংস্থার হাতে ১৭০ জনেরও বেশি মার্কিন নাগরিক আটক হয়েছেন বলে একটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে অভিযোগ করা হয়েছে। অলাভজনক অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা সংস্থা ‘প্রোপাবলিকা’ তাদের প্রতিবেদনে দাবি করেছে, আটক হওয়া বেশ কয়েকজন নাগরিককে শারীরিকভাবে হেনস্তা, বলপ্রয়োগ ও সময়মতো মুক্তি না দিয়ে আটকে রাখা হয়েছিল।

লস অ্যাঞ্জেলেস এলাকায় অভিবাসন অভিযান পরিচালনার সময় বর্ণ বিবেচনায় নেওয়ার সুযোগ দিয়ে সর্বোচ্চ আদালতের একটি সিদ্ধান্তের পর প্রোপাবলিকার এই প্রতিবেদনটি সামনে এলো। আদালতের সংখ্যাগরিষ্ঠ মতামতের পক্ষে বিচারপতি ব্রেট কাভানা বলেছিলেন, নাগরিকদের ‘উদ্বিগ্ন হওয়ার কারণ নেই’, কারণ তাদের আইনি পরিচয় যাচাইয়ের পরেই মুক্তি দেওয়া হবে।
তবে প্রোপাবলিকার দাবি, তাদের অনুসন্ধানে ভিন্ন চিত্র উঠে এসেছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘অভিবাসন সংস্থার সদস্যরা মার্কিন নাগরিকদের টেনেহিঁচড়ে নিয়েছে, ধাক্কা দিয়েছে, মারধর করেছে, বৈদ্যুতিক শক দিয়েছে এবং গুলিও করেছে’। কয়েকজনকে প্রতিকূল আবহাওয়ার মধ্যে বাইরে আটকে রাখা হয়েছিল এবং গর্ভবতী অবস্থায়ও অনেককে আটক করা হয়। আটককৃতদের মধ্যে প্রায় ২০ জন শিশু ছিল, যাদের দুজনের ক্যানসার ছিল বলে জানা গেছে।
তবে দেশটির স্বরাষ্ট্র দপ্তর (ডিএইচএস) এই অভিযোগ অস্বীকার করে জানিয়েছে, তাদের সংস্থার সদস্যরা ‘বর্ণ দেখে বা আমেরিকানদের লক্ষ্য করে অভিযান চালায় না’। কিন্তু সীমান্তরক্ষী বাহিনীর প্রধান গ্রেগরি বোভিনো একজন সাংবাদিককে দেওয়া বক্তব্যে ভিন্ন ইঙ্গিত দেন। তিনি বলেন, সংস্থার সদস্যরা চেহারা বিবেচনা করতে পারেন। তিনি প্রশ্ন রাখেন, ‘তাদের দেখতে আপনার চেয়ে কেমন?’
প্রতিবেদনে বেশ কিছু উদাহরণ তুলে ধরা হয়েছে। আলাবামার নির্মাণশ্রমিক লিওনার্দো গার্সিয়া ভেনেগাস জানান, তার পরিচয়পত্র আসল হওয়া সত্ত্বেও সংস্থার সদস্যরা তা আমলে নেননি এবং তার নাগরিকত্ব নিশ্চিত হওয়ার পরও তাকে আটক করে রাখেন। অন্যদিকে, ক্যালিফোর্নিয়ায় একটি কর্মক্ষেত্রে অভিযানের পর জর্জ রেটেস নামে এক প্রতিবন্ধী প্রবীণ সেনাকে তিন দিন আটকে রাখা হয়েছিল বলে অভিযোগ করেন তিনি।
পর্যালোচনা করা বেশিরভাগ ঘটনার ক্ষেত্রেই আটককৃতদের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ গঠন করা হয়নি। প্রোপাবলিকা জানিয়েছে, শনাক্ত হওয়া ১৭০টির বেশি ঘটনার মধ্যে প্রায় ৫০টি খারিজ হয়ে যায় বা কোনো মামলা হয়নি।
নাগরিক অধিকার কর্মীরা উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেছেন, বর্ণের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনার এই চর্চা মার্কিন নাগরিকদের ওপর প্রভাব ফেলতে পারে। আমেরিকান সিভিল লিবার্টিজ ইউনিয়নের কোডি ওফসি বলেন, ‘আমাদের যে কেউ পরবর্তী লক্ষ্যবস্তু হতে পারি’।
হোয়াইট হাউস প্রোপাবলিকাকে জানিয়েছে, ‘আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে আক্রমণ করলে যে কাউকে জবাবদিহি করতে হবে’। তারা জোর দিয়ে বলেছে, যুক্তরাষ্ট্রীয় সংস্থার সদস্যরা ‘আইন প্রয়োগ এবং আমেরিকান সমাজকে রক্ষা করার জন্য পেশাদারিত্বের সঙ্গে কাজ করে’।
প্রোপাবলিকা জানিয়েছে, বিভিন্ন মামলা, আদালতের নথি এবং গণমাধ্যমের প্রতিবেদন থেকে তারা এই তথ্য সংকলন করেছে। কারণ, এ ধরনের আটকের কোনো সরকারি পরিসংখ্যান জনসম্মুখে প্রকাশ করা হয় না। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, বেশ কয়েকটি রাজ্যে বড় আকারের অভিযান বৃদ্ধি পাওয়ায় সরকারি নজরদারি এবং নাগরিকদের সাংবিধানিক সুরক্ষা নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে।
গুগল নিউজে আমাদের প্রকাশিত খবর পেতে এখানে ক্লিক করুন...
খেলাধুলা, তথ্য-প্রযুক্তি, লাইফস্টাইল, দেশ-বিদেশের রাজনৈতিক বিশ্লেষণ সহ সর্বশেষ খবর
Stay up-to-date with the latest news from Bangladesh. Our comprehensive coverage includes politics, business, sports, and culture. Get breaking news, analysis, and commentary on the issues that matter most to Bangladeshis and the international community.
Bangladesh is a country located in South Asia and is home to a diverse population of over 160 million people. It has a rich cultural heritage and a rapidly growing economy. News from Bangladesh covers a wide range of topics, including politics, economics, social issues, culture, and more. The country has made significant progress in recent years in areas such as poverty reduction, education, and healthcare. However, it still faces challenges such as corruption and environmental degradation. Bangladeshi news sources cover both local and international news to keep the public informed about the latest developments and events.