ইসরায়েলি যুদ্ধাপরাধে ইইউ ব্যাংকের সম্পৃক্ততা খতিয়ে দেখা হচ্ছে

ইসরায়েলি যুদ্ধাপরাধে জড়িত থাকার অভিযোগে ইউরোপীয় বিনিয়োগ ব্যাংকের (ইআইবি) বিরুদ্ধে হিন্দ রজব ফাউন্ডেশনের (এইচআরএফ) করা একটি অভিযোগ আনুষ্ঠানিক মূল্যায়ন পর্যায়ে পৌঁছেছে। মঙ্গলবার ব্যাংকটির অভ্যন্তরীণ অভিযোগ নিষ্পত্তি ব্যবস্থা এই পদক্ষেপ নিয়েছে, যা অবৈধ ইসরায়েলি বসতি নির্মাণে জড়িত প্রতিষ্ঠানগুলোতে ইউরোপীয় ব্যাংকের অর্থায়নের বিষয়টিকে তদন্তের আওতায় আনবে।

হিন্দ রজব ফাউন্ডেশন এক বিবৃতিতে এটিকে একটি ‘টার্নিং পয়েন্ট’ বা গুরুত্বপূর্ণ মোড় হিসেবে আখ্যা দিয়ে বলেছে, ‘এই অগ্রগতি কেবল একটি পদ্ধতিগত বিষয় নয়, বরং এটি একটি রাজনৈতিক ও আইনি মাইলফলক। এটি ইঙ্গিত দেয় যে, একটি ইউরোপীয় প্রতিষ্ঠানকে আন্তর্জাতিক আইনের গুরুতর লঙ্ঘনে তার সম্পৃক্ততার মুখোমুখি হতে বাধ্য করা হচ্ছে।’

গত ২০ জুন এইচআরএফ ইউরোপীয় বিনিয়োগ ব্যাংকের অভিযোগ নিষ্পত্তি ব্যবস্থার কাছে একটি আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দায়ের করে। অভিযোগে অবৈধ বসতি স্থাপনে জড়িত থাকার কারণে জাতিসংঘের কালো তালিকাভুক্ত ইসরায়েলি প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে ইআইবি-র আর্থিক সহযোগিতা অবিলম্বে স্থগিত ও তদন্তের আহ্বান জানানো হয়।

এই বিনিয়োগের পরিমাণ ১০০ কোটি ইউরোরও বেশি (১১০ কোটি ডলার)। এর মধ্যে রয়েছে ব্যাংক লিউমি, ইলেক্ট্রা এবং জাতিসংঘের ২০২০ সালের তথ্যভান্ডারে তালিকাভুক্ত অন্যান্য প্রতিষ্ঠান, যারা ইসরায়েলি বসতি স্থাপন থেকে লাভবান হয় এবং এ কাজে সহায়তা করে।

এইচআরএফ জোর দিয়ে বলেছে, ‘ইউরোপীয় ইউনিয়নের অভ্যন্তরে এটি প্রথম আইনি পদক্ষেপগুলোর মধ্যে একটি, যা ইসরায়েলি যুদ্ধাপরাধে কোনো ইইউ প্রতিষ্ঠানের আর্থিক সম্পৃক্ততাকে সরাসরি চ্যালেঞ্জ করে। এটি শুধু ইসরায়েল নয়, বরং তৃতীয় পক্ষের সহায়তাকারীদেরও আন্তর্জাতিক আইনের অধীনে জবাবদিহি করার ক্ষেত্রে একটি নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছে।’

ব্যাংক লিউমি, ইলেক্ট্রা ও অন্যান্য কালো তালিকাভুক্ত প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে লেনদেনের মাধ্যমে ইআইবি তার নিজস্ব মান, ইইউ আইন বা আন্তর্জাতিক বাধ্যবাধকতা লঙ্ঘন করেছে কি না, তা এখন ব্যাংকটিকে অবশ্যই খতিয়ে দেখতে হবে।