‘ইউনাইটেড ইসলামী ব্যাংক’ নামে যাত্রা পাঁচ ব্যাংকের, অনুমোদন দিলো কেন্দ্রীয় ব্যাংক

বাংলাদেশের পাঁচ ইসলামী ব্যাংক একীভূত হয়ে নতুন নামে কার্যক্রম পরিচালনার অনুমোদন পেয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংক রবিবার (৯ নভেম্বর) এই পাঁচ ব্যাংকের একীভূত সত্তাকে ‘ইউনাইটেড ইসলামী ব্যাংক’ নামে পরিচালনার জন্য লেটার অব ইন্টেন্ট (এলওআই) জারি করেছে।

আজ বিকেলে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বিশেষ ভার্চ্যুয়াল বোর্ড সভায় এই অনুমোদন দেওয়া হয় বলে জানা গেছে।

নতুন গঠিত ইউনাইটেড ইসলামী ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান হিসেবে অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব নাজমা মোবারেককে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

পর্ষদে আরও সাতজন নতুন পরিচালক থাকবেন, এর মধ্যে পাঁচজন সরকারি প্রতিনিধি এবং দুজন বেসরকারি খাত থেকে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের এক নির্বাহী পরিচালক জানান, বোর্ডের মেয়াদ প্রাথমিকভাবে ছয় মাস থেকে এক বছর পর্যন্ত থাকবে। এরপর পাঁচ ব্যাংকের সম্পদ ও দায়সমূহের পূর্ণাঙ্গ যাচাই-বাছাই শেষে স্থায়ী পর্ষদ গঠন করা হবে।

তিনি আরও বলেন, এরপর ব্যাংকের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) পদে অভিজ্ঞ বাজার বিশেষজ্ঞদের নিয়োগ দেওয়া হবে এবং ব্যাংকটি স্বাধীনভাবে পরিচালিত হবে।

বাংলাদেশ ব্যাংক গত ৫ নভেম্বর ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক, গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক, ইউনিয়ন ব্যাংক, এক্সিম ব্যাংক ও সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক এই পাঁচটি ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ ভেঙে দিয়ে নিয়ন্ত্রণ নেয়।

প্রতিটি ব্যাংকে একজন করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক কর্মকর্তা প্রশাসক হিসেবে দায়িত্ব পান, এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালকগণকে পদত্যাগ করতে বলা হয়।

গভর্নর আহসান এইচ মনসুর গত সপ্তাহে সাংবাদিকদের বলেন, একীভূত ব্যাংকটি দেশের সবচেয়ে বড় ব্যাংক হবে। তিনি আমানতকারীদের আশ্বস্ত করে বলেন, কোনো আমানত ঝুঁকিতে নেই।

তার ভাষ্য, নতুন ব্যাংকটি রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন হলেও এটি বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় পরিচালিত হবে। কর্মীদের বেতন বাজারদরের ভিত্তিতে দেওয়া হবে এবং আমানতকারীরা প্রতিযোগিতামূলক লাভের হার পাবেন।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, একীভূত ইউনাইটেড ইসলামী ব্যাংকের প্রাথমিক পরিশোধিত মূলধন হবে ৩৫ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে ২০ হাজার কোটি টাকা সরকার দেবে, আর ১৫ হাজার কোটি টাকা আমানতকারীদের শেয়ার রূপান্তর করে যুক্ত করা হবে।

এখন ব্যাংক কর্তৃপক্ষকে রেজিস্ট্রার অব জয়েন্ট স্টক কোম্পানিজ থেকে নামের অনুমোদন নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকে জমা দিতে হবে, এরপরই চূড়ান্ত লাইসেন্স দেওয়া হবে।