যেসব রোগে আক্রান্ত থাকলে হজের অনুমতি দেবে না সৌদি সরকার

সৌদি আরবের হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গুরুতর বা সংক্রামক রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের হজে অংশগ্রহণের অনুমতি দেওয়া হবে না। এটি নিশ্চিত করতে হজযাত্রী প্রেরণকারী দেশগুলোর কর্তৃপক্ষকে প্রতিটি হজযাত্রীর স্বাস্থ্য পরীক্ষা নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে।

ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. আবুবকর সিদ্দীকের স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, কিডনি রোগে ডায়ালাইসিস চলা, গুরুতর হৃদরোগ, অক্সিজেনের ওপর নির্ভরশীল ফুসফুসের রোগ, লিভার সিরোসিস, গুরুতর স্নায়বিক বা মানসিক ব্যাধি, স্মৃতিভ্রংশ, অতি বয়সজনিত সমস্যার পাশাপাশি গর্ভাবস্থার শেষ পর্যায় ও উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ গর্ভধারণ থাকা নারী হজে অংশগ্রহণ করতে পারবেন না।

এছাড়া সংক্রামক রোগ যেমন যক্ষ্মা, ভাইরাল হেমোরেজিক জ্বর বা ক্যান্সারের জন্য কেমোথেরাপি ও নিবিড় ইমিউনোথেরাপি নিচ্ছেন রোগীদেরও অনুমতি দেওয়া হবে না।

হজযাত্রী প্রেরণকারী কর্তৃপক্ষকে নুসুক মাসার প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে প্রতিটি হজযাত্রীর বৈধ স্বাস্থ্য সনদ ইস্যু করতে হবে। সৌদি আরবের আগমন ও বহির্গমন প্রান্তে মনিটরিং টিম এই সনদের সত্যতা যাচাই করবে। যদি কোনো দেশের হজযাত্রীর স্বাস্থ্য সনদে অনিয়ম ধরা পড়ে, সংশ্লিষ্ট দেশের বিরুদ্ধে সংশোধনমূলক ব্যবস্থা নেবে সৌদি কর্তৃপক্ষ।

ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম. খালিদ হোসেন বলেন, নিরাপদ ও সুষ্ঠু হজ ব্যবস্থাপনার জন্য হজযাত্রীর শারীরিক সক্ষমতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাই দেশের পক্ষ থেকে প্রেরণকৃত হজযাত্রীদের স্বাস্থ্য যাচাই সৌদি হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয়ের বিধিনিষেধ অনুযায়ী কড়াইভাবে অনুসরণ করা হবে।

এর আগে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ই নির্দেশ দিয়েছিল, নিবন্ধন শুরুর আগেই দুরারোগ্য রোগে আক্রান্তদের হজের জন্য নিবন্ধন করা হবে না। এ বিষয়ে হজ এজেন্সিগুলোকেও সতর্ক করা হয়েছে। এছাড়া, বাংলাদেশি দুই চিকিৎসক সৌদি সরকারের আমন্ত্রণে সেদেশে অনুষ্ঠিত হজ সম্পর্কিত কর্মশালায় অংশগ্রহণ করছেন, যেখানে স্বাস্থ্য সংক্রান্ত বিধিনিষেধ ও নিরাপত্তা প্রক্রিয়া বিষয়ে বিস্তারিত ধারণা নেওয়া হচ্ছে।