সরকারি এলপিজির দাম বাড়ানোর প্রস্তাব আমলে নেয়নি বিইআরসি

রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন এলপি গ্যাসের দাম বাড়ানোর একটি প্রস্তাব বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি) আপাতত আমলে নেয়নি। সম্প্রতি রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান এলপি গ্যাস লিমিটেড দাম বৃদ্ধির এই আবেদন জমা দিয়েছিল।

বিইআরসি চেয়ারম্যান জালাল আহমেদ বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘রাষ্ট্রীয় কোম্পানি এলপি গ্যাস লিমিটেড দাম বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়েছিল। কিন্তু সে প্রস্তাব আমরা এখন পর্যন্ত আমলে নেইনি।’

কোম্পানিটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. ইউসুফ হোসেন ভূঁইয়ার সই করা ওই আবেদনে সাড়ে ১২ কেজি সিলিন্ডারের দাম ৮২৫ টাকা থেকে ১০০ টাকা বাড়িয়ে ৯২৫ টাকা করার কথা বলা হয়েছিল। দাম বাড়ানোর কারণ হিসেবে আবেদনে ডিলার পর্যায়ে স্থানীয় পরিবহন ও অপারেশন খরচ বৃদ্ধি, ক্রসফিলিং বন্ধ এবং বেসরকারি কোম্পানির সঙ্গে দাম সমন্বয়ের প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ করা হয়। বর্তমানে বেসরকারি খাতে একই পরিমাণ গ্যাসের দাম ১ হাজার ৩২৩ টাকা।

এর আগে চলতি বছরের ৪ মে বিইআরসি কোনো গণশুনানি ছাড়াই সরকারি এলপিজির দাম ৬৯০ টাকা থেকে ৮২৫ টাকায় নির্ধারণ করেছিল। সেই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ভোক্তা অধিকার সংগঠন কনজুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছিল।

এ বিষয়ে ক্যাবের জ্বালানি উপদেষ্টা ড. এম শামসুল আলম বলেন, ‘বিইআরসি আগেও গণশুনানি ছাড়াই বেআইনিভাবে দাম বাড়িয়েছে। এবারও এমন কোনো প্রচেষ্টা হলে তা সম্পূর্ণ অগ্রহণযোগ্য হবে।’

দেশে বছরে প্রায় ১৫ লাখ টন এলপিজির চাহিদা থাকলেও ২০২৩-২৪ অর্থবছরে এলপি গ্যাস লিমিটেড সরবরাহ করেছে মাত্র ১২ হাজার ৭২৩ টন। সাধারণ ভোক্তাদের অভিযোগ, সরকারি এলপিজি বাজারে সহজলভ্য নয়। এর একটি বড় অংশ নির্দিষ্ট সরকারি বা প্রাতিষ্ঠানিক খাতে চলে যায় এবং সামান্য যা বাজারে আসে, তার বিরুদ্ধেও কালোবাজারে বিক্রির অভিযোগ রয়েছে।