‘উসকানির’ অভিযোগে আল-আকসার খতিবের বিচার করবে ইসরায়েল!

পূর্ব জেরুজালেমের আল-আকসা মসজিদের খতিব শেখ একরিমা সাবরির বিরুদ্ধে ‘উসকানির’ অভিযোগে বিচার শুরু করতে যাচ্ছে ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ। তার আইনজীবীদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, মঙ্গলবার জেরুজালেমের একটি আদালতে ৮৬ বছর বয়সি এই খতিবের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ পর্যালোচনা করা হবে।

শেখ সাবরির প্রতিরক্ষা দপ্তর এক বিবৃতিতে জানায়, হামাস নেতা ইসমাইল হানিয়ার মৃত্যুতে শোক প্রকাশ এবং ২০২২ সালে অধিকৃত পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি সেনাদের গুলিতে ফিলিস্তিনিদের মৃত্যুর ঘটনায় শোক জানানোর কারণে তার বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদে উসকানির অভিযোগ আনা হয়েছে। চলতি বছরের জুলাই মাসে ইরানে ইসরায়েলি বিমান হামলায় নিহত হন হানিয়া।

এর আগেও শেখ সাবরির বিরুদ্ধে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ। চলতি বছরের আগস্টে হানিয়ার মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করায় তাকে ছয় মাসের জন্য আল-আকসা মসজিদে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়।

খতিবের প্রতিরক্ষা দল জানিয়েছে, ‘এই বিচার সাম্প্রতিক বছরগুলোতে তার বিরুদ্ধে নেওয়া ধারাবাহিক নিপীড়নমূলক পদক্ষেপের একটি অংশ, যার মধ্যে রয়েছে আল-আকসা মসজিদে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা, ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা এবং তার বাড়ি ভেঙে ফেলার নির্দেশ।’ তারা আরও জানায়, ‘ইসরায়েলের কট্টর ডানপন্থি দল ও সংগঠনগুলোর ব্যাপক উসকানিমূলক প্রচারণার ফলেই এই বিচার অনুষ্ঠিত হচ্ছে।’

গাজার সমর্থনে খুতবা দেওয়ায় ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ শেখ একরিমার বিরুদ্ধে বারবার ব্যবস্থা নিয়েছে। একই সঙ্গে তেল আবিবের কর্মকর্তারা, বিশেষ করে জাতীয় নিরাপত্তা মন্ত্রী ইতামার বেন-গভির এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মোশে আরবেল, তার বিরুদ্ধে ক্রমাগত উসকানি দিয়ে আসছেন।

আল-আকসা মসজিদ মুসলমানদের জন্য বিশ্বের তৃতীয় পবিত্রতম স্থান। ইহুদিরা এই এলাকাকে ‘টেম্পল মাউন্ট’ বলে দাবি করে এবং তাদের ভাষ্যমতে, প্রাচীনকালে এখানে দুটি ইহুদি উপাসনালয় ছিল। ১৯৬৭ সালের আরব-ইসরায়েল যুদ্ধের সময় ইসরায়েল পূর্ব জেরুজালেম দখল করে নেয়, যেখানে আল-আকসা অবস্থিত। ১৯৮০ সালে তারা পুরো শহরটিকে নিজেদের অন্তর্ভুক্ত করে, যা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় কখনোই স্বীকৃতি দেয়নি।