হোয়াইট হাউস: ট্রাম্পের শান্তি প্রস্তাবে জাতীয় স্বার্থ দেখছে ইউক্রেন

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শান্তি পরিকল্পনার বর্তমান খসড়াটি ইউক্রেনের জাতীয় স্বার্থের প্রতিফলন ঘটিয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির প্রতিনিধিদল। জেনেভায় অনুষ্ঠিত উচ্চ পর্যায়ের শান্তি আলোচনার পর হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে একটি সম্ভাব্য শান্তি কাঠামো তৈরির দিকে এটি একটি ‘উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি’। রোববার এই আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।

আলোচনায় মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ, ট্রাম্পের জামাতা জ্যারেড কুশনার, মার্কিন সেনাবাহিনীবিষয়ক সচিব ড্যানিয়েল ড্রিসকল এবং ইউক্রেনের একটি জ্যেষ্ঠ প্রতিনিধিদল অংশ নেয়। কর্মকর্তারা এটিকে ট্রাম্পের শান্তি পরিকল্পনার সর্বশেষ খসড়া চুক্তিগুলোর একটি ‘বিস্তারিত ও ফলপ্রসূ’ পর্যালোচনা হিসেবে বর্ণনা করেছেন।

হোয়াইট হাউসের পক্ষ থেকে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে বলা হয়, আলোচনাটি ছিল ‘খোলামেলা ও বিশদ’ এবং উভয় পক্ষই উদীয়মান শান্তি কাঠামোর মূল সংশোধনীগুলো নিয়ে কাজ করেছে।

ইউক্রেনীয় প্রতিনিধিরা জানান, বৈঠকে নিরাপত্তা নিশ্চয়তা, দীর্ঘমেয়াদী অর্থনৈতিক উন্নয়ন, অবকাঠামো সুরক্ষা, নৌচলাচলের স্বাধীনতা এবং রাজনৈতিক সার্বভৌমত্বের মতো তাদের প্রধান উদ্বেগগুলোর বিষয়ে পুরোপুরি আলোকপাত করা হয়েছে।

বিবৃতিতে হোয়াইট হাউস জানায়, ইউক্রেনীয় প্রতিনিধিরা বলেছেন যে উপস্থাপিত সংশোধনী ও স্পষ্টীকরণের ওপর ভিত্তি করে তারা বিশ্বাস করেন, বর্তমান খসড়াটি তাদের জাতীয় স্বার্থ রক্ষা করে। তাদের মতে, এই প্রস্তাবে স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদে ইউক্রেনের নিরাপত্তা রক্ষার জন্য বিশ্বাসযোগ্য এবং কার্যকর ব্যবস্থা রয়েছে।

জোরদার নিরাপত্তা নিশ্চয়তার কাঠামো, অনাক্রমণ প্রতিশ্রুতি এবং জ্বালানি খাতের স্থিতিশীলতা ও পুনর্গঠনকে আলোচনার গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি হিসেবে তারা উল্লেখ করেছেন।

মার্কিন কর্মকর্তারা এই কূটনৈতিক প্রক্রিয়ার কেন্দ্রে ইউক্রেনের সার্বভৌমত্ব ও দীর্ঘমেয়াদী সমৃদ্ধি বজায় রাখার বিষয়ে ওয়াশিংটনের দৃঢ় প্রতিশ্রুতির কথা পুনর্ব্যক্ত করেছেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী রুবিও জোর দিয়ে বলেন, এই প্রচেষ্টা মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের বিবৃত লক্ষ্যের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ। এই সংঘাতে উভয় পক্ষে হাজার হাজার বেসামরিক নাগরিক এবং তার চেয়েও অনেক বেশি সেনাসদস্যের মৃত্যু হয়েছে। ‘টেকসই ও কার্যকর’ শান্তির মাধ্যমে আরও প্রাণহানি রোধ করাই এর লক্ষ্য।

বিবৃতির শেষে বলা হয়, ‘উভয় পক্ষই ধারাবাহিক অগ্রগতিকে স্বাগত জানিয়েছে এবং চুক্তিগুলো চূড়ান্ত করার লক্ষ্যে আলোচনা চালিয়ে যেতে সম্মত হয়েছে। আজকের দিনটি একটি উল্লেখযোগ্য অগ্রগতির মাইলফলক এবং টেকসই ও ব্যাপক শান্তি অর্জনের জন্য দলগুলো কাজ করার সঙ্গে সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সমন্বয় অপরিহার্য হবে, এই অভিন্ন বোঝাপড়ার মাধ্যমে বৈঠকটি শেষ হয়েছে।’