বিএনপি-জামায়াতের বাইরে নতুন জোটের ঘোষণা কাল!

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নতুন একটি রাজনৈতিক জোট আত্মপ্রকাশ করতে যাচ্ছে। জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতৃত্বে চারটি দলের সমন্বয়ে গঠিত এই জোটের ঘোষণা আসতে পারে আগামীকাল বৃহস্পতিবার। এই সম্ভাব্য জোটে এনসিপির সঙ্গে আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টি, বাংলাদেশ রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন এবং ইউনাইটেড পিপলস বাংলাদেশ (আপ বাংলাদেশ) থাকতে পারে বলে জানা গেছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, গত কয়েক মাস ধরে দলগুলোর নেতাদের মধ্যে জোট গঠনের বিষয়ে অনানুষ্ঠানিক আলোচনা চলছিল। বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীর বিপরীতে ছোট দলগুলোকে একত্রিত করার লক্ষ্যেই এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ফ্যাসিবাদ-বিরোধী অবস্থান এবং জুলাই সনদ সংক্রান্ত বিষয়ে দলগুলোর মধ্যে পূর্ণ ঐকমত্য থাকলেও নির্বাচনী আসন বণ্টন নিয়ে এখনও কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এনসিপির একজন শীর্ষ নেতা জানান, বাংলাদেশের রাজনীতিতে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি বলয়ের বাইরে তৃতীয় কোনো শক্তিকে দাঁড়াতে দেওয়া হয়নি। তিনি বলেন, ‘আমরা এনসিপির নেতৃত্বে তৃতীয় শক্তি গড়ার কথা ভাবছি। এখন পর্যন্ত এবি পার্টি, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন ও আপ বাংলাদেশের সঙ্গে আলাপ চলছে। পরবর্তীতে আরও দু-একটি দল যুক্ত হতে পারে।’

এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার তুষার জানিয়েছেন, তারা তরুণদের নিয়ে তৃতীয় একটি বলয় তৈরি করতে চান, যাদের সঙ্গে আদর্শগত মিল রয়েছে। কয়েকটি দলের সঙ্গে প্রাথমিক আলোচনা চললেও এখনো কোনো কিছুই চূড়ান্ত হয়নি।

এদিকে, জুলাই সনদসহ কয়েকটি বিষয়ে বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে এনসিপির দূরত্ব তৈরি হয়েছে, যা আলোচনার মাধ্যমেও কমেনি। এ কারণেই দলটি ছোট দলগুলোর দিকে মনোযোগ দিচ্ছে। যদিও এনসিপির বেশিরভাগ নেতা-কর্মী চান, দলটি এককভাবে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করুক। দলের আহ্বায়ক নাহিদ ইসলামও জানিয়েছেন, এনসিপি ৩০০ আসনে একক প্রার্থী দেওয়ার লক্ষ্যে কাজ করছে।

তবে দলের মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী ভিন্ন ইঙ্গিত দিয়েছেন। তিনি জানান, আগামী কয়েক দিনের মধ্যে নতুন একটি জোটের ঘোষণা আসতে পারে। তার মতে, ‘এই জোট হবে নারীদের, আলেম-ওলামাদের এবং বাংলাদেশের আপামর মানুষের পক্ষে।’

এবি পার্টির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জুও জোট গঠনের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে আগামী কয়েক দিনের মধ্যেই নতুন জোট গঠন করা হবে এবং জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে সক্রিয় ভূমিকা রাখা দলগুলোকে এতে প্রাধান্য দেওয়া হবে।