কঠোর অবস্থানে ট্রাম্প, যুক্তরাষ্ট্রে বন্ধ হলো আশ্রয়ের দুয়ার!

যুক্তরাষ্ট্রে সব ধরনের আশ্রয় আবেদন গ্রহণ ও নিষ্পত্তির প্রক্রিয়া সাময়িকভাবে স্থগিত করা হয়েছে। ওয়াশিংটন ডিসিতে দুজন ন্যাশনাল গার্ড সদস্যের ওপর বন্দুক হামলার ঘটনার পর মার্কিন নাগরিকত্ব ও অভিবাসন পরিষেবা (ইউএসসিআইএস) এই পদক্ষেপ নেয়। শুক্রবার সংস্থাটির পরিচালক জোসেফ এডলো এক্সে (সাবেক টুইটার) দেওয়া একটি পোস্টে এই তথ্য নিশ্চিত করেন।

জোসেফ এডলো জানান, যুক্তরাষ্ট্রে আশ্রয়ের জন্য আবেদনকারী প্রতিটি বিদেশি নাগরিকের চূড়ান্ত যাচাই-বাছাই নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত এই স্থগিতাদেশ বহাল থাকবে। এর আগে বুধবারের ওই হামলায় অভিযুক্ত আফগান নাগরিকের কারণে একজন ন্যাশনাল গার্ড সদস্যের মৃত্যু হয়, যা পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তোলে।

ইউএসসিআইএস কর্মকর্তাদের কাছে পাঠানো এক নির্দেশনায় বলা হয়েছে, কোনো দেশের আশ্রয় আবেদন অনুমোদন বা বাতিল—কোনোটিই করা যাবে না। যেসব আবেদন চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের পর্যায়ে রয়েছে, সেগুলোও আপাতত থামিয়ে অপেক্ষা করতে বলা হয়েছে।

এই নির্দেশনা জারির মাত্র কয়েক ঘণ্টা আগেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ‘তৃতীয় বিশ্বের’ দেশগুলো থেকে অভিবাসন স্থায়ীভাবে বন্ধের পরিকল্পনার কথা ঘোষণা করেছিলেন। প্রেসিডেন্টের এমন ঘোষণার পরই অভিবাসন সংস্থার এই পদক্ষেপ নতুন মাত্রা যোগ করেছে।

বিশ্লেষকরা মনে করছেন, বুধবারের প্রাণঘাতী হামলাটি ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদে অভিবাসন নীতি আরও কঠোর করার ইঙ্গিত দিচ্ছে। তিনি ইতোমধ্যে যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধভাবে বসবাসকারী অভিবাসীদের গণহারে ফেরত পাঠানো, শরণার্থী গ্রহণের সংখ্যা কমানো এবং জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব পাওয়ার অধিকার বাতিলের মতো পদক্ষেপ নেওয়ার কথা বলেছেন।

হামলার পর ট্রাম্প প্রতিশ্রুতি দেন, ‘যাদের এখানে থাকার অধিকার নেই’, তাদের যুক্তরাষ্ট্র থেকে বের করে দেওয়া হবে। এর অংশ হিসেবে আফগান নাগরিকদের সব ধরনের অভিবাসন আবেদন প্রক্রিয়া স্থগিত করা হয়েছে। একই সঙ্গে ১৯টি দেশ থেকে আসা অভিবাসীদের গ্রিন কার্ড পুনরায় পরীক্ষার কথাও জানিয়েছে ইউএসসিআইএস।

ট্রাম্প প্রশাসনের এমন কঠোর অবস্থান আন্তর্জাতিক অঙ্গনে উদ্বেগ তৈরি করেছে। জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থা এর সমালোচনা করেছে এবং বিশ্লেষকরা বলছেন, এই সিদ্ধান্তগুলো বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে বড় ধরনের আইনি চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে পারে।