ফিলিস্তিনিদের সাহায্যে গাজায় আরও দুটি ‘মোবাইল বেকারি’ পাঠিয়েছে জর্ডান

গাজা উপত্যকায় বসবাসকারী ফিলিস্তিনিদের জন্য মানবিক সহায়তা কার্যক্রম আরও জোরদার করেছে জর্ডান। দেশটির রাজার নির্দেশে এবং আন্তর্জাতিক সংস্থা ‘ওয়ার্ল্ড সেন্ট্রাল কিচেন’ (ডব্লিউসিকে)-এর সহযোগিতায় সেখানে আরও দুটি ভ্রাম্যমাণ বেকারি পাঠানো হয়েছে। এই উদ্যোগের মূল উদ্দেশ্য হলো উপকূলীয় ওই অঞ্চলের তীব্র খাদ্য সংকট মোকাবিলা করা।

জর্ডানের রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা পেত্রা জানিয়েছে, গাজায় পৌঁছানোর পরপরই বেকারি দুটি তাদের কার্যক্রম শুরু করবে। প্রতিটি বেকারি দৈনিক প্রায় ৭০ হাজার রুটি প্রস্তুত করতে সক্ষম। নতুন দুটিসহ জর্ডানের পরিচালনায় গাজায় এখন মোট তিনটি ভ্রাম্যমাণ বেকারি কাজ করবে, যা চলমান রুটির ঘাটতি পূরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আশা করা হচ্ছে।

গাজায় প্রথম জর্ডানিয়ান ভ্রাম্যমাণ বেকারিটি চালু হয়েছিল গত জানুয়ারিতে। ডব্লিউসিকের তথ্য অনুযায়ী, চালুর পর থেকে বেকারিটি এ পর্যন্ত এক কোটি ১০ লাখেরও বেশি রুটি উৎপাদন করেছে। উল্লেখ্য, ওয়ার্ল্ড সেন্ট্রাল কিচেন একটি আন্তর্জাতিক মানবিক সংস্থা, যা বিশ্বের বিভিন্ন সংকট ও সংঘাতপূর্ণ অঞ্চলে খাদ্য সহায়তা দিয়ে থাকে।

গত দুই বছর ধরে গাজায় আটাসহ জরুরি পণ্য প্রবেশের ক্ষেত্রে ইসরায়েল কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করে রেখেছে। অনেক সময় মানবিক সাহায্য পাঠানোর পথও বন্ধ করে দেওয়া হয়। এমন পরিস্থিতিতে জর্ডানের এই ভ্রাম্যমাণ বেকারিগুলো ফিলিস্তিনিদের জন্য খাদ্য সহায়তার অন্যতম প্রধান উৎস হয়ে উঠেছে।

জর্ডান কর্তৃপক্ষ জানায়, ২০২৩ সালের অক্টোবর মাস থেকে গাজায় ১৮১টির বেশি সাহায্য কনভয় পাঠানো হয়েছে, যাতে মোট সাত হাজার ৯৩২টি ট্রাক ছিল। এছাড়া, জর্ডানের সেনাবাহিনী ৪২১টি আকাশপথে ত্রাণ সহায়তা কার্যক্রম পরিচালনা করেছে, যার মধ্যে ২৮৪টি ছিল অন্যান্য দেশের সহযোগিতায়। এর পাশাপাশি গাজায় দুটি সামরিক ফিল্ড হাসপাতাল পরিচালনা করছে জর্ডান, যা স্থানীয়দের চিকিৎসাসেবা দিয়ে আসছে। ফিলিস্তিনিদের দুর্দশা লাঘবে রাজা দ্বিতীয় আবদুল্লাহর নির্দেশনায় এই পদক্ষেপগুলো নেওয়া হয়েছে।