যুক্তরাষ্ট্রে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার তালিকায় যুক্ত হতে পারে ৩০টির বেশি দেশ

যুক্তরাষ্ট্র সরকার তাদের ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার তালিকা আরও দীর্ঘ করার পরিকল্পনা করছে। নতুন করে এই তালিকায় অন্তর্ভুক্ত দেশের সংখ্যা ৩০ ছাড়িয়ে যেতে পারে বলে জানা গেছে। ট্রাম্প প্রশাসন বর্তমানে দেশগুলোর তালিকা যাচাই-বাছাই করছে, যা ভবিষ্যতে আরও কঠোর অভিবাসন নীতির ইঙ্গিত বহন করে।

ফক্স নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এমন ইঙ্গিতই দিয়েছেন মার্কিন হোমল্যান্ড সিকিউরিটি সেক্রেটারি ক্রিস্টি নোম। বৃহস্পতিবার সংবাদমাধ্যমটির সঙ্গে আলাপকালে তিনি জানান, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বিষয়টি নিয়ে গভীরভাবে পর্যালোচনা করছেন। তবে ঠিক কোন কোন দেশ এই নতুন তালিকার অন্তর্ভুক্ত হবে, সে বিষয়ে তিনি এখনই বিস্তারিত কিছু জানাননি।

নিষেধাজ্ঞার আওতা বাড়ানোর কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের এই শীর্ষ কর্মকর্তা নিরাপত্তার বিষয়টিকে প্রাধান্য দিয়েছেন। তিনি প্রশ্ন তোলেন, যেসব দেশে স্থিতিশীল সরকার নেই বা যারা নিজেদের নাগরিকদের পরিচয় নিশ্চিত করতে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে তথ্য আদান-প্রদানে অক্ষম, সেসব দেশের মানুষকে কেন যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হবে? মূলত নিরাপত্তা ঝুঁকি কমাতেই এমন পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।

সম্প্রতি ওয়াশিংটন ডিসিতে ন্যাশনাল গার্ডের দুই সদস্য গুলিতে নিহত হওয়ার ঘটনার পর অভিবাসন নীতিতে কঠোর অবস্থান নিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন। মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থার তথ্যমতে, ওই হত্যাকাণ্ডে আফগানিস্তানের এক অভিবাসী জড়িত ছিলেন। এই ঘটনার পরই ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার পরিধি বাড়ানোর বিষয়টি নতুন করে আলোচনায় আসে।

ওই ঘটনার প্রেক্ষাপটে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘোষণা দিয়েছিলেন, ‘তৃতীয় বিশ্বের সব দেশ’ থেকে যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসন স্থায়ীভাবে বন্ধ করা হবে। যদিও সে সময় তিনি নির্দিষ্ট কোনো দেশের নাম উল্লেখ করেননি, তবে বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনায় নিষেধাজ্ঞার পরিধি যে বাড়ছে, তা স্পষ্ট।

এর আগে গত জুনে নিরাপত্তা হুমকির কথা উল্লেখ করে একটি ঘোষণা স্বাক্ষর করেছিলেন ট্রাম্প। ওই নির্দেশনায় ১২টি দেশের নাগরিকদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা এবং আরও সাতটি দেশের ওপর ভ্রমণ বিধিনিষেধ দেওয়া হয়েছিল। পর্যটক, শিক্ষার্থী, ব্যবসায়ী ও অভিবাসীরা এই নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়েছিলেন।

সাক্ষাৎকারে ক্রিস্টি নোমকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, নিষিদ্ধ দেশের সংখ্যা বাড়িয়ে ৩২টি করা হচ্ছে কি না। জবাবে তিনি সুনির্দিষ্ট কোনো সংখ্যা উল্লেখ করতে রাজি হননি। তবে তিনি নিশ্চিত করেছেন যে, তালিকায় থাকা দেশের সংখ্যা ৩০-এর বেশি হবে এবং প্রশাসন এ নিয়ে কাজ করছে।