১৬ ডিসেম্বর ও বুদ্ধিজীবী দিবসে ডিএমপির বিশেষ নিরাপত্তা পরিকল্পনা

আসন্ন দুইটি গুরুত্বপূর্ণ জাতীয় দিবসকে কেন্দ্র করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কেউ যেন গুজব ছড়িয়ে অস্থিরতা তৈরি করতে না পারে, সেদিকে কঠোর নজরদারি বাড়ানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায় থেকে দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানানো হয়। জাতীয় কর্মসূচিগুলো নির্বিঘ্নে বাস্তবায়নের লক্ষ্যে পুলিশ সদস্যদের পেশাদারিত্বের সঙ্গে কাজ করার তাগিদ দেওয়া হয়েছে।

সোমবার (৮ ডিসেম্বর) সকালে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) হেডকোয়ার্টার্সের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক সমন্বয় সভায় এসব বিষয়ে আলোচনা হয়। মূলত আসন্ন শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস (১৪ ডিসেম্বর) এবং মহান বিজয় দিবস (১৬ ডিসেম্বর) সুষ্ঠুভাবে উদযাপনের লক্ষ্যে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা নিয়ে এই সভার আয়োজন করা হয়েছিল।

সভায় উপস্থিত অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) এস এন মো. নজরুল ইসলাম বলেন, ‘সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলোতে গুজব বা ভুয়া সংবাদ ছড়িয়ে জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করতে না পারে সেজন্য সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে।’ তিনি আশা প্রকাশ করেন যে, সবার সহযোগিতায় দিবস দুইটি নির্বিঘ্নে উদ্‌যাপিত হবে এবং সবাই যথাযথভাবে নিজ নিজ পেশাগত দায়িত্ব পালন করবেন।

নিরাপত্তা ব্যবস্থার গুরুত্ব তুলে ধরে অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (অ্যাডমিন) মো. সরওয়ার (অতিরিক্ত আইজি) বলেন, ‘সবাইকে অত্যন্ত সতর্ক থাকতে হবে। রাষ্ট্রীয় কর্মসূচি সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে জনবল মোতায়েনে কোনো বিলম্ব করা যাবে না।’ তিনি সংশ্লিষ্ট সব সংস্থার মধ্যে সমন্বয় রাখার ওপর জোর দেন এবং জানান যে, ঢাকা মহানগর পুলিশ এই দুটি দিবসকে কেন্দ্র করে প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।

সমন্বয় সভার কার্যক্রমের শুরুতে ডিএমপির যুগ্ম পুলিশ কমিশনার (অপারেশনস) মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ পাওয়ারপয়েন্ট প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে দিবস দুটির নিরাপত্তা পরিকল্পনা বিস্তারিতভাবে তুলে ধরেন। এরপর উপস্থিত কর্মকর্তারা উন্মুক্ত আলোচনায় অংশ নিয়ে নিরাপত্তার বিভিন্ন দিক নিয়ে কথা বলেন।

উক্ত সভায় ডিএমপির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের পাশাপাশি সরকারের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দপ্তরের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। এর মধ্যে বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা, ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন, ফায়ার সার্ভিস, ঢাকা ওয়াসা, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা ও সুরক্ষা সেবা বিভাগের প্রতিনিধিরা তাদের মূল্যবান মতামত ও পরামর্শ প্রদান করেন।