সাখাওয়াত: আমরাই নির্বাচনের কথা বলেছি, কেউ সময় বেঁধে দেয়নি

অন্তর্বর্তীকালীন সরকার যখন দায়িত্ব গ্রহণ করে, তখন নির্বাচন আয়োজনের জন্য কোনো নির্দিষ্ট সময়সীমা বা শর্ত বেঁধে দেওয়া হয়নি। এমনকি এক বা দেড় বছরের মধ্যে নির্বাচন দিতে হবে—এমন কোনো ম্যান্ডেটও তাদের কেউ দেয়নি। সোমবার সচিবালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে শ্রম ও কর্মসংস্থান উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন এসব কথা জানান।

শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের এক বছরের অর্জন ও সাফল্য তুলে ধরতে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সেখানে উপদেষ্টা স্পষ্ট করেন, সরকার নিজ থেকেই নির্বাচনের উদ্যোগ নিয়েছে এবং সময়মতো নির্বাচন হবে বলে আশ্বাস দিয়েছে। সরকারের এই ঘোষণার পর রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে যদি তৎপরতা বা তোড়জোড় শুরু হয়, তবে সেখানে সরকারের হস্তক্ষেপ করার কোনো সুযোগ নেই।

বিগত ২০২৪ সালের ৮ আগস্ট দায়িত্ব গ্রহণের প্রেক্ষাপট স্মরণ করিয়ে দিয়ে তিনি বলেন, তখন নির্বাচনের তারিখ নিয়ে কোনো বাধ্যবাধকতা ছিল না। তবে বর্তমান সরকার মনে করে, দেশে একটি নির্বাচিত সরকার ব্যবস্থা থাকা জরুরি। গত ১৭-১৮ বছর ধরে দেশে যে বৈশ্বিক গণতান্ত্রিক চর্চার অনুপস্থিতি ছিল, তা পুনরায় প্রতিষ্ঠা করাই তাদের মূল লক্ষ্য। এটি করতে পারলে তা সরকারের জন্য বড় অর্জন হিসেবে গণ্য হবে।

দেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি সম্পর্কে শ্রম উপদেষ্টার দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি মন্তব্য করেন, রাজনৈতিক দলগুলো এখন তাদের ভবিষ্যৎ কর্মপন্থা নিয়ে কিছুটা অনিশ্চয়তায় আছে। তবে সরকার ও রাজনৈতিক দলগুলো যদি পরস্পরের মুখোমুখি অবস্থানে না দাঁড়ায়, তবে পরিস্থিতিকে রাজনৈতিক বিশৃঙ্খলা বলা যাবে না।

অতীতে নির্বাচন কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করা এম সাখাওয়াত হোসেনের কাছে সাংবাদিকরা জানতে চেয়েছিলেন, বর্তমানে দেশে নির্বাচনের যথাযথ পরিবেশ তৈরি হয়েছে কি না। জবাবে তিনি বিষয়টি এড়িয়ে যান। তিনি বলেন, নির্বাচন সংক্রান্ত বিষয়গুলো তিনি বিস্মৃত হয়েছেন এবং এ নিয়ে তার কোনো ধারণা নেই। দেশে নির্বাচনের পরিবেশ আছে কি না, সে বিষয়ে সঠিক উত্তর নির্বাচন কমিশনই দিতে পারবে।

সংবাদ সম্মেলনে শ্রম উপদেষ্টার সঙ্গে শ্রমসচিব মো. সানোয়ার জাহান ভুঁইয়াসহ মন্ত্রণালয়ের অন্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।