ঢাকা-১০ আসনে স্বতন্ত্র লড়বেন আসিফ মাহমুদ, লক্ষ্মীপুরে মাহফুজ

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-১০ আসন থেকে লড়ার সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করেছেন সাবেক উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়া। তিনি এই আসনে কোনো দলের টিকিটে নয়, বরং স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।

শুক্রবার বেলা ১১টা ৫১ মিনিটে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে একটি ভিডিও বার্তা আপলোড করে আসিফ মাহমুদ নিজেই বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। ভোটার ও শুভাকাঙ্ক্ষীদের উদ্দেশ্যে দেওয়া ওই পোস্টে তিনি লিখেছেন, সকলের সহযোগিতা ও সমর্থন তার কাম্য। এর আগে থেকেই রাজনৈতিক অঙ্গনে গুঞ্জন ছিল যে তিনি রাজধানী থেকেই নির্বাচন করবেন।

ধানমন্ডি, নিউমার্কেট, কলাবাগান ও হাজারীবাগ এলাকা নিয়ে গঠিত ঢাকা-১০ আসনটি রাজনৈতিকভাবে বেশ গুরুত্বপূর্ণ। এই আসনে বিএনপির পক্ষ থেকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে দলের নির্বাহী কমিটির সদস্য শেখ রবিউল আলমকে। অন্যদিকে জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থী হিসেবে রয়েছেন দলটির কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী জসীম উদ্দিন সরকার। তবে এই আসনে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) এখনো তাদের কোনো প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেনি।

আসিফ মাহমুদের পাশাপাশি নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন সাবেক আরেক উপদেষ্টা মাহফুজ আলমও। তার ভাই ও এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক মাহবুব আলম জানিয়েছেন, মাহফুজ আলম লক্ষ্মীপুর-১ আসন থেকে ভোট করবেন। তবে তিনি কোন প্রতীকে বা কোন দলের হয়ে লড়বেন, তা নিয়ে এখনো আলোচনা চলছে। এনসিপি থেকে বা স্বতন্ত্র হিসেবে তার নির্বাচনের সম্ভাবনা খুবই কম বলে জানা গেছে।

নির্বাচন সামনে রেখে গত ৯ নভেম্বর নিজের ভোটার এলাকা পরিবর্তন করে ধানমন্ডিতে স্থানান্তর করেছিলেন আসিফ মাহমুদ। তখন থেকেই ধারণা করা হচ্ছিল তিনি ঢাকা-১০ আসন থেকে লড়তে পারেন। অন্তর্বর্তী সরকারে থাকার সময় তিনি স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করেছেন। অন্যদিকে মাহফুজ আলম ছিলেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে।

ভোটের মাঠে নামার লক্ষ্যে গত বুধবার অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছিলেন আসিফ ও মাহফুজ। রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় গিয়ে তারা পদত্যাগপত্র দিলে তা গ্রহণ করা হয়। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় নির্বাচনী তফসিল ও গণভোটের সময়সূচি ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গেই তাদের পদত্যাগ কার্যকর হয়।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দীন বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় নির্বাচনের আনুষ্ঠানিক তফসিল ঘোষণা করেছেন। ঘোষিত সময়সূচি অনুযায়ী, আগামী বছরের ১২ ফেব্রুয়ারি ৩০০ আসনে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। একই দিনে জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে গণভোট আয়োজনের সিদ্ধান্তও জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন।