সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে সড়ক অবরোধ সংস্কৃতি বন্ধের আহ্বান আইজিপির

আসন্ন জাতীয় নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরাপদভাবে আয়োজনের স্বার্থে সড়ক ও মহাসড়ক অবরোধের সংস্কৃতি অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলম। তিনি বলেছেন, তুচ্ছ দাবি বা ছোটখাটো ইস্যুতে রাস্তা অবরোধের প্রবণতা সমাজে অস্থিরতা সৃষ্টি করছে, যা নির্বাচনী নিরাপত্তা নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে বড় বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে।

মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে আয়োজিত এক ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন আইজিপি। আসন্ন ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৬ জাতীয় নির্বাচন ও গণভোটকে সামনে রেখে জেলা প্রশাসক (ডিসি), পুলিশ সুপার (এসপি) এবং মাঠপর্যায়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জন্য এই ব্রিফিংয়ের আয়োজন করে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

আইজিপি বলেন, আমরা লক্ষ্য করছি, খুবই সামান্য বিষয় নিয়ে সড়ক ও মহাসড়ক অবরোধ করে সমাজে অস্থিরতা সৃষ্টির চেষ্টা করা হচ্ছে। এই সংস্কৃতি বন্ধ করার এখনই সময়। সর্বত্র শৃঙ্খলা নিশ্চিত করা না গেলে নির্বাচন কমিশনকে সর্বাত্মক নিরাপত্তা সহায়তা দেওয়া কঠিন হয়ে পড়বে।

ব্রিফিংয়ে ডিসি ও এসপিদের পাশাপাশি বিভাগীয় কমিশনার, মহানগর পুলিশ কমিশনার, পুলিশের ডিআইজি, আঞ্চলিক ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন।

এতে প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ এম এম নাসির উদ্দিনসহ চার নির্বাচন কমিশনার নির্বাচন পরিচালনায় করণীয় বিষয়ে দিকনির্দেশনা দেন। ব্রিফিংয়ে সভাপতিত্ব করেন ইসির সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ।

গত জুলাই আন্দোলন পরবর্তী সময়ে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সামাল দিতে পুলিশের যেসব চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হয়েছিল, সে প্রসঙ্গ টেনে আইজিপি বলেন, ভবিষ্যতে এমন পরিস্থিতি মোকাবিলায় পুলিশ এখন আগের চেয়ে অনেক বেশি প্রস্তুত।

তিনি বলেন, এই নির্বাচনের আগে আমরা আমাদের সক্ষমতা আরও জোরদার করেছি। আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় কঠোর পদক্ষেপ নিতে নির্বাচন কমিশনের সহযোগিতা প্রত্যাশা করি।

আইজিপি বাহারুল আলম দৃঢ় আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, বাংলাদেশ পুলিশ সর্বোচ্চ শক্তি ও সামর্থ্য দিয়ে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠানে ভূমিকা রাখবে।

তিনি নির্বাচন কমিশনের উদ্যোগের প্রশংসা করে বলেন, নির্বাচনসংক্রান্ত অপরাধে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিতে নির্বাচন অনুসন্ধান কমিটিকে সংক্ষিপ্ত বিচার পরিচালনার ক্ষমতা দেওয়া সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত।

এসময় মাঠপর্যায়ে পুলিশ সদস্যদের বদলি সংক্রান্ত বিষয়েও স্পষ্ট নির্দেশনার প্রয়োজনীয়তার কথা তুলে ধরেন আইজিপি।

তিনি বলেন, এসপি ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের বদলি বিষয়ে নির্দেশনা থাকলেও উপপরিদর্শক (এসআই) ও কনস্টেবল পর্যায়ের বদলিতে আরও পরিষ্কার গাইডলাইন প্রয়োজন।

ব্রিফিংয়ের উদ্বোধনী পর্বে উচ্চপর্যায়ের সরকারি কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন।