ইসরায়েলে লাউডস্পিকারে আজান নিষিদ্ধ করতে পার্লামেন্টে বিল

ইসরায়েলের কট্টর ডানপন্থী দল ওৎজমা ইয়েহুদিত ১৯৪৮ সালের অধিকৃত এলাকাসহ গ্রিন লাইনের ভেতরে আজান প্রচারে কড়াকড়ি আরোপের উদ্যোগ নিয়েছে। রোববার ইসরায়েলি গণমাধ্যমের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে সিয়াসাত ডেইলি। প্রস্তাবিত এই বিলে মসজিদগুলোতে লাউডস্পিকার ব্যবহারে কঠোর নিষেধাজ্ঞার কথা বলা হয়েছে।

ইসরায়েলি পার্লামেন্ট নেসেটে বিলটি উত্থাপন করেন জাতীয় নিরাপত্তা কমিটির চেয়ারম্যান তজভিকা ফোগেল। বিলটির পৃষ্ঠপোষকতা করছেন দেশটির জাতীয় নিরাপত্তা মন্ত্রী ইতামার বেন গভির। বিলে বলা হয়েছে, কর্তৃপক্ষের পূর্বানুমতি ছাড়া মসজিদে লাউডস্পিকার ব্যবহার করে আজান দেওয়া যাবে না।

লাউডস্পিকার ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা আরোপের পাশাপাশি এ বিষয়ে একটি লাইসেন্স ও প্রয়োগব্যবস্থা চালুর কথাও উল্লেখ রয়েছে। অনুমতি প্রদানের ক্ষেত্রে শব্দের মাত্রা, কোলাহল বা নয়েজ কমানোর ব্যবস্থা, মসজিদের অবস্থান এবং আশপাশের বাসিন্দাদের ওপর প্রভাব বিবেচনা করা হবে বলে জানানো হয়েছে।

এদিকে এ উদ্যোগের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে ইসরায়েলের ফিলিস্তিনি নাগরিক এবং বিভিন্ন ইসলামি ধর্মীয় সংগঠন। ফিলিস্তিনের ইসলামিক সুপ্রিম ফতোয়া কাউন্সিল প্রস্তাবিত বিলটির নিন্দা জানিয়েছে। তারা একে ‘ইসলামি ইবাদতের ওপর সরাসরি আঘাত এবং মুসলিম ধর্মীয় পরিচয়কে লক্ষ্য করে চলমান নীতির ধারাবাহিকতা’ বলে মন্তব্য করেছে। সংস্থাটি সতর্ক করে বলেছে, ‘আজানের ওপর বিধিনিষেধ আরোপ করা হলে ধর্মীয় উত্তেজনা আরও বেড়ে যেতে পারে।’

এর আগে জাতীয় নিরাপত্তা মন্ত্রী ইতামার বেন গভির বিদ্যমান বিধি ব্যবহার করে পুলিশকে মসজিদের লাউডস্পিকার জব্দ করার নির্দেশ দিয়েছিলেন। নতুন এ বিল সেই নির্দেশনাগুলোকে আইনি কাঠামোর আওতায় আনতে চায়। বর্তমান বিলটি পাস হলে ইসরায়েলি নিয়ন্ত্রণাধীন এলাকায় মসজিদের লাউডস্পিকার ব্যবহারে এটিই হবে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে কঠোর ও বিস্তৃত আইনগত বিধিনিষেধ। উল্লেখ্য, ২০১৭ সালেও আজানের ওপর বিধিনিষেধ আরোপের চেষ্টা করা হয়েছিল, তবে তা তখন আইনে পরিণত হয়নি।