জোট সমঝোতায় ৩০ আসনে এনসিপির প্রার্থী তালিকা প্রস্তুত

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে জোটে যাওয়ার পর জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) প্রার্থী তালিকা নিয়ে প্রস্তুতি জোরদার করেছে। দলীয় সূত্র জানিয়েছে, জোটভিত্তিক সমঝোতার আওতায় রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় অন্তত ৩০টি আসনে প্রার্থী দেওয়ার পরিকল্পনা করেছে এনসিপি।

রবিবার (২৮ ডিসেম্বর) রাতে রাজধানীর বাংলামোটরে দলের অস্থায়ী কার্যালয়ে এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে জামায়াতের সঙ্গে জোট গঠনের ঘোষণা দেয় এনসিপি। এরপর থেকেই প্রার্থী তালিকা নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোচনা শুরু হয়।

এনসিপির একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র জানিয়েছে, প্রাথমিকভাবে কয়েকটি আসনে সম্ভাব্য প্রার্থীদের নাম চূড়ান্ত করা হয়েছে। চূড়ান্ত অনুমোদনের আগে এসব নাম জোটের শরিকদের সঙ্গে সমন্বয় করা হচ্ছে।

সূত্র অনুযায়ী, এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম ঢাকা-১১ আসন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারেন। ঢাকা মহানগরীর অন্যান্য আসনে সম্ভাব্য প্রার্থীদের মধ্যে রয়েছেন ঢাকা-৯ এ জাভেদ রাসিন, ঢাকা-৮ এ নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী, ঢাকা-১৯ এ দিলশানা পারুল এবং ঢাকা-২০ এ ইঞ্জিনিয়ার নাবিলা তাহসিন।

রাজধানীর বাইরে উত্তরাঞ্চলে সারজিস আলম পঞ্চগড়-১, আব্দুল আহাদ দিনাজপুর-৬, আখতার হোসেন রংপুর-৪, আতিক মুজাহিদ কুড়িগ্রাম-২ এবং সাইফ মুস্তাফিজ সিরাজগঞ্জ-৬ আসনে সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে আলোচনায় রয়েছেন।

মধ্য ও পূর্বাঞ্চলে আশরাফউদ্দিন মাহদি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কোনো একটি আসনে, হাসনাত আবদুল্লাহ কুমিল্লা-৪, হান্নান মাসউদ নোয়াখালী-৬, সুলতান জাকারিয়া নোয়াখালী এবং ডা. জাহেদুল নেত্রকোনা আসনে প্রার্থী হতে পারেন বলে জানা গেছে। এছাড়া নারায়ণগঞ্জ থেকে আব্দুল্লাহ আল আমিন এবং নরসিংদী থেকে সরোয়ার তুষারকে সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে দেখা হচ্ছে।

দক্ষিণাঞ্চলে আরিফ আদিব বরিশাল, ডা. মাহমুদা মিতু ঝালকাঠি এবং মাহবুব আলম লক্ষ্মীপুর থেকে নির্বাচন করতে পারেন। পার্বত্য অঞ্চলে বান্দরবান আসনে সুজাউদ্দৌলার নাম আলোচনায় রয়েছে।

এছাড়া গাজীপুরে আলি নাসের খান, শেরপুরে মো. লিখন মিয়া, মৌলভীবাজারে প্রীতম দাশ, চট্টগ্রামে জোবায়রুল আরিফ, নাটোরে জার্জিস কাদের, চুয়াডাঙ্গায় মোল্লা ফারুক এহসান, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আতাউল্লাহ, টাঙ্গাইলে সাইফুল্লাহ হায়দার এবং বাগেরহাটে মোল্লা রহমতুল্লাহ সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে প্রাথমিক তালিকায় রয়েছেন।

এনসিপির এক নেতা জানান, জোটের চূড়ান্ত সমঝোতা এবং মনোনয়ন প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার পর আনুষ্ঠানিকভাবে প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করা হবে। তবে দলটি ইতোমধ্যে নির্বাচনি প্রস্তুতি ও সাংগঠনিক তৎপরতা বাড়িয়েছে।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, জামায়াতের সঙ্গে জোট এবং ৩০ আসনে প্রার্থী দেওয়ার পরিকল্পনা এনসিপিকে জাতীয় রাজনীতিতে একটি দৃশ্যমান অবস্থানে নিয়ে আসতে পারে।