প্রশ্ন অনেক, উত্তর নেই রেইনট্রি কর্তৃপক্ষের

বনানীর ধর্ষণের ঘটনা নিয়ে নিজেদের অবস্থান জানাতে আজ সংবাদ সম্মেলন ডেকেছিলো হোটেল রেইনট্রি কর্তৃপক্ষ। এই হোটেলের দুটি কক্ষেই আলোচিত ঘটনাটি ঘটে। সংবাদ সম্মেলনে রেইনট্রি কর্তৃপক্ষের কাছে অনেক প্রশ্ন ছিলো সংবাদ মাধ্যমের। কিন্তু কোনো উত্তর ছিলো না তাদের।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত একটি বিবৃতি দেয় হোটেলটের মালিকপক্ষ হুমায়রা গ্রুপের মহাব্যবস্থাপক গোলাম মোস্তফা। বিবৃতিতে তিনি বলেন যে, সাফাত- সাদমান- নাঈমদের ঘৃণ্য কাজের কারণে সবচেয়ে বেশি ক্ষতির মুখে পড়েছে রেইনট্রি কর্তৃপক্ষ। তারা ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত এবং বিচার প্রত্যাশা করেন।

সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেয়ার জন্য উপস্থিত ছিলেন আদনান হারুন। তিনি হোটেলটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক। আদনানের হারুনের অন্য একটি পরিচয় হলো, তিনি ঝালকাঠি-১ আসনের সাংসদ বিএইচ হারুনের ছেলে।

আদনান হারুন জানান, হোটেল রেইনট্রি এখনো পুরো কার্যক্রম শুরু করেনি। তারা এখনো ‘সফট ওপেনিংয়ে’ আছেন বলে মন্তব্য করেন তিনি। এ সময় ‘কিছু ভুল- ভ্রান্তি’ হতে পারে বলেও মন্তব্য করেন আদনান হারুন।

ধর্ষণের ঘটনা নিয়ে এর আগে হোটেল রেইনট্রি কর্তৃপক্ষ বলেছিলো, তাদের হোটেলে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। যে দুজন নারী ধর্ষণের অভিযোগ করেছেন, ঘটনার পরের দিন সকালে তারা হাসতে হাসতে হোটেল থেকে বের হয়েছেন বলে দাবি করা হয়েছিলো।

এ দিকে সংবাদ সম্মেলনে উঠা অনেক প্রশ্নের কোনো উত্তর দেয়নি রেইনট্রি কর্তৃপক্ষ। উত্তর না দিয়ে তারা বলেছে, ধর্ষণ মামলার বিষয়টি এখনো তদন্তাধীন। সুতরাং এ বিষয়ে কোনো কথা বলা যাবে না। তাহলে তদন্তাধীন বিষয় নিয়ে কেনো সংবাদ সম্মেলন আয়োজন করা হলো— এ প্রশ্নে কোনো উত্তর দেয়নি রেইনট্রি কর্তৃপক্ষ।

উল্লেখ্য, গত ২৮ মার্চ বনানীর রেইনট্রিতে ধর্ষিত হয়েছেন অভিযোগ করে ছয় মে দুজন বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রী বনানী থানায় মামলা করেন। মামলার প্রধান আসামী সাফাত আহমেদ, তিনি আপন জুয়েলার্সের অন্যতম মালিক দিলদার আহমেদের ছেলে। আরেক আসামী সাদমান সাকিফ, তিনি রেগনাম গ্রুপের প্রধান মোহাম্মদ হোসেন জনির ছেলে। আরেক আসামী নাঈম আশরাফ ইমেকার্স নামের একটি ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা।