সেন্টমার্টিনে খাবার ও বিশুদ্ধ পানির তীব্র সংকট, অসহায় হাজারও মানুষ

ঘূর্ণিঝড় ‘মোরা’ আজ মঙ্গলবার সকাল ছয়টার দিকে উপকূলীয় অঞ্চলে আঘাত হেনেছে। এতে এখন পর্যন্ত সেন্টমার্টিনে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যাচ্ছে। ইতোমধ্যেই ওই দ্বীপ অঞ্চলটিতে খাবার ও বিশুদ্ধ পানির তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে বলে জানা গেছে।

সেন্টমার্টিনের প্রায় ১ হাজার ২০০ মানুষ দ্বীপের এ কটি ১০ শয্যার হাসপাতালে আশ্রয় নিয়েছে বলে জানিয়েছেন বাজার পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক হাফেজ ওয়াসিম। সেখানে খাবার ও বিশুদ্ধ পানির কোনো ব্যবস্থাই নেই বলে তিনি জানান।

হাফেজ ওয়াসিম গণমাধ্যমকে বলেন, সাইক্লোন মোরার কারণে দ্বীপের বিভিন্ন স্থানে আশ্রয় নেয়া মানুষগুলো চরম দুর্ভোগে পড়েছে। দ্বীপের একমাত্র সাইক্লোন সেন্টারটি জরাজীর্ণ হলেও সেখানে প্রায় এক হাজারেরও বেশি মানুষ আশ্রয় নিয়েছে।

এছাড়া দ্বীপের সেনচুর, অবকাশ, ব্লু-মেরিন হোটেল, জেলা পরিষদ ডাকবাংলো ও আবহাওয়া অফিসে আশ্রয় নিয়েছে চার-পাঁচ হাজার মানুষ। এগুলির কোনোটিতেই পর্যাপ্ত খাবার ও বিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থা নেই।

উল্লেখ্য, সাইক্লোন মোরা উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড়টি উত্তর দিকে অগ্রসর হয়ে সকাল ছয়টার দিকে কুতুবদিয়ার কাছ দিয়ে কক্সবাজার-চট্টগ্রাম উপকূলে অতিক্রম শুরু করে। এটি আরও উত্তর দিকে অগ্রসর হতে পারে।

এদিকে আজ সকালের আবহাওয়া অধিদপ্তরের বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, ঘূর্ণিঝড় ‘মোরা’র কেন্দ্রে সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘন্টায় ৮৯ কিলোমিটার। কিন্তু দমকা বা ঝড়ো হাওয়া আকারে এটি ১১৭ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে।

অনেক আগেই চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর ও কক্সবাজার উপকূলকে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। উপজূলীয় জেলা কক্সবাজার, চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, লক্ষীপুর, ফেনী, চাঁদপুর এবং অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরগুলো ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে।

ভোলা, বরগুনা, পটুয়াখালী, বরিশাল, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বাগেরহাট, খুলনা, সাতক্ষীরা এবং অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরগুলোর ক্ষেত্রে ৮ নম্বর মহাবিপদ সংকেত বজায় থাকবে।