প্রতিপক্ষ ভারত বলেই ‘বাড়তি উত্তেজনা’

স্রেফ একটা প্রস্তুতি ম্যাচ। আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আগে দুটি প্রস্তুতি ম্যাচ নির্ধারিত ছিল বাংলাদেশের জন্য। পাকিস্তানের বিপক্ষে যার প্রথমটি তিনদিন আগে খেলে ফেলেছে বাংলাদেশ। আজ দ্বিতীয় প্রস্তুতি ম্যাচ খেলতে মাঠে নামছে মাশরাফি বিন মর্তুজার দল, প্রতিপক্ষ ভারত। আর প্রতিপক্ষ ভারত বলেই প্রস্তুতি ম্যাচ হলেও বাড়তি রোমাঞ্চ, বাড়তি উত্তেজনা।

গত কয়েক বছর ধরে বাংলাদেশ-ভারতের ক্রিকেট লড়াই বাড়তি রোমাঞ্চ ছড়িয়ে যাচ্ছে। ২০০৭ সালের বিশ্বকাপে বাংলাদেশের বিপক্ষে হেরে বিদায় নেওয়াটা হয়তো কোন দিনই ভুলতে পারবে না ভারত। গত ২০১৫ সালের বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে মাহমুদউল্লাহকে ‘নো বলে’ আউট দেওয়ার বিষয়টা হজম করতে পারেনি বাংলাদেশের সমর্থকরা।

তার আগে ২০১২ সালে শচীন টেন্ডুলকারের শততম সেঞ্চুরির দিনে এশিয়া কাপে বাংলাদেশের বিপক্ষে হারটাও হজম করতে পারেনি ভারতীয়রা। আর গত বিশ্বকাপের পর বাংলাদেশের এসে প্রথমবারের মতো সিরিজ হেরে যাওয়ার ক্ষতটা হয়তো কখনোই শুকায়নি ভারতের।

এই ক্ষতে হালকা প্রলাপ পড়েছে গত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে। বাংলাদেশের বিপক্ষে ঘরের মাঠে হারতে বসা ম্যাচটা নাটকীয়ভাবে এক রানে জিতে যায় ভারত। গত কয়েক বছরের এই ঘটনাগুলো বাংলাদেশ-ভারত ক্রিকেট লড়াইকে আলাদা রোমাঞ্চকর বানিয়ে দিয়েছে। আজকের ম্যাচটা স্রেফ প্রস্তুতি হলেও বাড়তি রোমাঞ্চ ছড়াচ্ছে এসব কারণেই।

বাংলাদেশ সময় বেলা সাড়ে তিনটায় প্রস্তুতি ম্যাচটা খেলতে মুখোমুখি হয়ে বাংলাদেশ-ভারত। খেলাটি সরাসরি সম্প্রচার করবে গাজী টিভি ও স্টার স্পোর্টস-১ ও ৩।

বাড়তি রোমাঞ্চ যে ছড়াচ্ছে অভিজ্ঞ ওপেনার তামিম ইকবালের কথাতেও তার প্রকাশ পেলো। গতকাল গণমাধ্যমকে তামিম বলেন, ‘অবশ্যই এটা গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ। কারণ ভারতের বিপক্ষে খেলছি আমরা। আমি নিশ্চিত, সবাই চাইবে ইতিবাচক কিছু করতে।’

ইতিবাচক কিছু করা অবশ্য বাংলাদেশের জন্য বেশ দরকারও। কারণ আগের ম্যাচে রানের পাহাড় গড়ে হারতে হয়েছে পাকিস্তানের বিপক্ষে। শেষ দিকে বোলিং এবং ফিল্ডিং একেবারেই বাজে হয়েছে মাশরাফিদের। ফলে আজ উন্নতির ছাপ রাখা দরকার। তাছাড়া চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে বাংলাদেশ পড়েছে শক্তিশালি এক গ্রুপে। ভারতের বিপক্ষে ইতিবাচক কিছু করতে পারলে গ্রুপ পর্বের ম্যাচে সেটা অবশ্যই বাড়তি অনুপ্রেরনা জোগাবে।