রুটের কাছে ম্লান তামিম, বাংলাদেশের হার

৩০৫ রানের বিশাল পুঁজিও টিকলো না বদলে যাওয়া ইংল্যান্ডের কাছে। তামিম ইকবালের নবম সেঞ্চুরিটি ম্লান হয়ে গেলো জো রুটের দ্বাদশ সেঞ্চুরির কাছে। আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির প্রথম ম্যাচে ইংলিশদের কাছে বাংলাদেশ হেরে গেলো আট উইকেটের বড় ব্যাবধানে।

ইংলিশ পেসারদের বিপক্ষে তাদেরই মাটিতে জেতাটা সহজ নয়। বাংলাদেশ তাই আট আটজন ব্যাটসম্যান নিয়ে খেলতে নেমেছিলো। উদ্দেশ্যে ছিলো ব্যাটিংয়ে যতোটা সম্ভব ভালো কিছু করা। কিন্তু এটা করতে গিয়ে দুর্বল হয়ে গেছে বাংলাদেশের বোলি বিভাগটা। আর এখানেই হারতে হলো মাশরাফিদের। ৩০৫ রানের পুঁজির পরও হারতে হলো বড় ব্যবধানেই।

বড় রানের জবাব দিতে নেমে মাত্র ছয় রানেই প্রথম উইকেট হারায় ইংলিশরা। মাশরাফি ফেরান জ্যাসন রায়কে। কিন্তু দ্বিতীয় উইকেটে বাংলাদেশি বোলিং আক্রমণকে দারুণ দক্ষতায় রুখে দেন অ্যালেক্স হেলস ও জো রুট। তারা ১৫৯ রানের জুটি গড়ে ম্যাচে প্রতিষ্ঠা করে ফেলেন তাদের নিয়ন্ত্রণ। এরপর যতো সময় গেছে, ম্যাচ থেকে ততোই ছিটকে গেছে বাংলাদেশ।

হেলস- রুটের জুটি ভাঙার জন্য নানাভাবে চেষ্টা করেছেন মাশরাফি। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি। জুটি ভাঙতে ভাঙতে ইংলিশদের রান হয়ে যায় ১৬৫। সাব্বির এসে ভাঙেন এই জুটি। বোলিং বিভাগটা দুর্বল হলেও মাশরাফি একবারের জন্যও মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের হাতে বল তুলে দেননি।

অন্য দিকে, এ দিন মাশরাফির সঙ্গে বোলিং শুরু করেন সাকিব আল হাসান। তার কাছ থেকে বিশেষ কিছুর প্রত্যাশা ছিলো অধিনায়কের। কিন্তু বিশ্বের সেরা অলরাউন্ডার এ দিন হয়ে ছিলেন কেবলই তার নিজের ছায়া। আজ বাংলাদেশি বোলারদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি খরুচে ছিলেন তিনিই।

শেষ পর্যন্ত ১৬ বল বাকি থাকতে আট উইকেট হাতে রেখেই জিতে যায় ইংল্যান্ড। ১৩৩ রান করে অপরাজিত থাকেন জো রুট। ৬১ বলে ৭৫ রান করে অপরাজিত থাকেন ইংলিশ অধিনায়ক ইয়ন মরগান।

এর আগে তামিম ইকবালের ১২৮ এবং মুশফিকের ৭৯ রানে ভর করে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথমবার তিনশর বেশি রান করে বাংলাদেশ। ওই রানের পর জয়ের স্বপ্নটা তাই একেবারে অমূলক ছিলো না। কিন্তু বদলে যাওয়া ইংল্যান্ডের দুর্দান্ত ব্যাটিং এবং বাংলাদেশের দুর্বল বোলি লাইনের কারণে জয়বঞ্চিত হতে হলো বাংলাদেশকে।