জমজমাট লড়াইয়ের আভাস দিলো পাকিস্তান

আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি ২০১৭ এর ফাইনালে ব্যাট হাতে জমজমাট লড়াইয়ের আভাস দিল পাকিস্তান। চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারতের বোলারদের দিশেহারা করে নির্ধারিত ৫০ ওভারে চার উইকেট হারিয়ে ৩৩৮ রান সংগ্রহ করেছে পাকিস্তান।

পাকিস্তানের সেমিফাইনালের নায়ক ও অধিনায়ক সরফরাজ আগেই ঘোষণা দিয়েছিলেন ভারতের বিপক্ষে আক্রমণাত্মক ক্রিকেট খেলবে তার দল। এখন পর্যন্ত ব্যাট হাতে যেন সেটাই করে দেখালেন পাকিস্তানের ব্যাটসম্যানরা। দুই উদ্বোধনী ব্যাটসম্যানের মারমুখী ব্যাটিংয়ে কোন পাত্তাই পায়নি ভারতের বোলাররা। রান আউটের মাধ্যমে প্রথম উইকেটের পতন ঘটলেও লাইনচ্যুত হয়নি পাকিস্তান। ভারতীয় বোলারদের দিশেহারা করে ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন উদ্বোধনী বিস্ফোরক ব্যাটসম্যান ফখর জামান।

এর আগে ফাইনালের গুরুত্বপূর্ণ টসটি জেতেন ভারতীয় অধিনায়ক বিরাট কোহলি। টসে জিতে ওভালের ব্যাটিং স্বর্গে পাকিস্তানকে ব্যাট করার আমন্ত্রণ জানান কোহলি। ব্যাট হাতে মাঠে নামেন পাকিস্তানের নতুন বিস্ময় ফখর জামান আর আজহার আলি। শুরু থেকে ম্যাচে প্রভাব বিস্তার করেন তারা। দুই উদ্বোধনী ব্যাটসমানকে যেন কিছুতেই আটকাতে পারছিলেন না কোহলি। অবেশেষ ২৩ ওভারের শেষ বলে ব্যক্তিগত অর্ধশত রান (৫৯ রান) করে রান আউট হয়ে প্যাভিলিয়নে ফেরেন আজহার আলী। আজহারের ইনিংসে ছিল ৬চার ও একটি দৃষ্টিনন্দন ছক্কা।

সঙ্গী হারালেও আক্রমণাত্মক ভঙ্গীতে ভারতীয় বোলারদের শাসন করেন ফখর জামান। দলীয় ২০০ এবং ব্যক্তিগত ১১৪ রানের নান্দনিক ইনিংস খেলে হার্দিক পান্ডার বলে আউট হয়ে সাজঘরে ফেরেন তিনি। ১০৬ বলের ইনিংসটিতে ছিল ১২টি চার ও ৩টি ছক্কার মার।

ফখরের সেঞ্চুরির পাশাপাশি বাবর আজমের ৪৬ রান এবং শেষ দিকে মোহাম্মদ হাফিজের অর্ধশত পাকিস্তানকে বড় রানের সংগ্রহ এনে দেয়। স্কোর দেখেই বোঝা যায় ভারতীয় বোলারদের ওপর দিয়ে কি পরিমাণ তাণ্ডব চালিয়েছে পাকিস্তান। তবে ভারতের বোলারদের মধ্যে একদম ব্যতিক্রম ছিলেন ভুবনেশ্বর কুমার। ১০ ওভারে ৪৪ রানে ১ উইকেট নেন তিনি। এরমধ্যে দুটি মেইডেনও ছিল।

৩৩৮ রান নি:শন্দেহে বড় স্কোর। বিশ্লেষকরা বলছেন, ওভালের এই ব্যাটিংস্বর্গে ম্যাচটি জিততে হলে বল হাতেও চমক দিতে হবে পাকিস্তানকে। বিশেষ করে ভারতের দুই উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান এবং চেজ মাস্টার কোহলিকে ফেরাতে হবে খুব দ্রুত। অন্যদিকে ভারত যদি প্রথমের দিকেই একটা পার্টনারশিপ গড়তে পারে পারে তাহলে জেতা কঠিন হবে পাকিস্তানের। সবমিলিয়ে ভারতের দীর্ঘ ব্যাটিং লাইনআপের জন্য চ্যালেঞ্জিং স্কোরই দাঁড় করিয়েছে পাকিস্তান।