একটা নো বল যেভাবে বদলে দিয়েছে ফখর জামানকে

একটা নো বলে ঠিক কী কী হতে পারে? এই প্রশ্নটা যদি ফখর জামানকে করেন, তবে উত্তরটা শুনতে হবে অনেক সময় নিয়ে। কারণ ফখরের যে বলার আছে অনেক কিছু! একটা মাত্র নো বলই বদলে দিয়েছে তার জীবন। সাধারণ এক ক্রিকেটপাগল তরুণ থেকে তিনি হয়ে উঠেছেন বিশ্ব তারকা।

ফখর জামানকে নিশ্চয় চিনে গেছেন এতক্ষণে। কদিন আগে ইংল্যান্ডে হয়ে যাওয়া চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনালে তার সেঞ্চুরিতে ভর করেই ভারতকে হারিয়ে শিরোপা জিতেছে পাকিস্তান। অথচ আসর শুরুর আগে পাকিস্তানে সেভাবে গোনায়ই ধরেনি কেউ। পাদপ্রদীপের আলো ছিলো না ফখরের উপরও। কিন্তু সেই ফখরই ফাইনালে জ্বলে উঠলেন। যার উপর আলো ছিলো না, সেই তার আলোতেই ঝলমল করে উঠলো ক্রিকেটবিশ্ব।

ফখর জামান ফাইনালে ১০৬ বলে ১১৪ রানের দারুণ এক ইনিংস খেলে পাকিস্তানের জয়ের ভিত তৈরি করে দেন। আর এটা তিনি পেরেছেন একটা নো বল থেকে পাওয়া জীবন দিয়ে।

তার রান যখন মাত্র তিন, তখন জাসপ্রিত বুমরাহর একটি বল তার ব্যাট ছুঁয়ে জমা পড়ে উইকেটরক্ষক এমএস ধোনির গ্লাভসে। সঙ্গে সঙ্গে আউট হওয়ার যন্ত্রণা নিয়ে ড্রেসিং রুমের দিকে হাঁটা দিয়েছিলেন ফখর। ধরে নিয়েছিলেন যে, কিছুই করতে পারলেন না তিনি।

কিন্তু তার যাওয়ার পথে পিছন থেকে ডেকে ওঠেন মাঠের আম্পায়ার। তারা নো বল যাচাই করে দেখেন যে, বলটা আসলে নো-ই হয়েছে! যেনো প্রাণ ফিরে পান ফখর। আবার উইকেটে ফিরে এসে খেলেন নিজের ক্যারিয়ারের প্রথম শত রানের ইনিংস। সেই ইনিংসে ভর করেই চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির শিরোপা ঘরে তুলে পাকিস্তান।

সেই ম্যাচের বেশ কয়েকদিন পর নো বলটি নিয়ে কথা বলেছেন ফখর। তিনি বলেছেন, নো বল থেকে পাওয়া জীবনকে একটা সুযোগ হিসেবে নিয়েছিলেন তিনি। তার ইচ্ছা ছিলো এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে বড় কিছু করার। শেষ পর্যন্ত তিনি সেটা পেরেছেন। একটা নো বল থেকে কী কী হতে পারে? এমন প্রশ্ন করলে ফখরের উত্তরটা যে আসলেই বিশাল বড় হবে, সেটা তো বোঝাই যায়!