শ্রীলঙ্কার ক্রিকেট আরো একবার কাঁপিয়ে দিবে জিম্বাবুয়ে?

শ্রীলঙ্কায় খেলতে শ্রীলঙ্কাকেই এমন বিপদে আর কে ফেলতে পেরেছে কবে? এমন প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে বেশ সময়ই লাগবে। তা লাগুক। জিম্বাবুয়ের কি আর সে সব ভাবার সময় আছে? তারা তো এখন মজে আছে জিম্বাবুয়ের মাটিতে প্রথম টেস্ট জয়ের স্বপ্নে। যেটা করতে পারলে ২০০১ সালের প্রথমবারের মতো প্রতিপক্ষের মাটিতে টেস্ট জেতাও হয়ে যাবে গ্রায়েম ক্রেমারদের।

কলম্বো টেস্টের তৃতীয় দিন শেষে জিম্বাবুয়ে লঙ্কানদের চেয়ে এগিয়ে আছে ২৬২ রানে। এই পরিস্থিতি থেকে লঙ্কানদের পক্ষে টেস্ট জেতা কঠিনই।

জিম্বাবুয়ে তাদের দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যটিংয়ে নামে মাত্র ১০ রানের লিড নিয়ে। তখনও এটা আন্দাজ করার সুযোগ ছিলো না যে, এই জিম্বাবুয়ে লঙ্কানদের বড় একটা পরীক্ষার সামনে ফেলতে যাচ্ছে। ৫৯ রানে পাঁচ উইকেট হারিয়ে ফেলার পর তো জিম্বাবুয়ের পক্ষে বাজি ধরার লোকই ছিলো না।

কিন্তু সিকান্দার রাজার দারুণ এক ইনিংস এবং তার সঙ্গে পিটার মুরের ৮৬ রানের জুটির কল্যাণে জিম্বাবুয়ে ঘুরে দাঁড়ায় দারুণভাবে। আক্রমণাত্মক সিকান্দার রাজা দিন শেষে অপরাজিত আছেন ৯৭ রানে। শ্রীলঙ্কার মাটিতে টেস্টের তৃতীয় দিনে রাজা যেভাবে খেলেছেন, তা নিশ্চিতভাবেই বিশ্লেষকদের আকর্ষণ করবে দারুণভাবে।

রাজা ও মুরের জুটির চেয়ে বড় জুটি গড়েন রাজা ও ম্যালকম ওয়ালার। অবিচ্ছিন্ন সপ্তম উইকেটে তারা যোগ করেছেন ১০৭ রান। এই দুই জুটিতে ভর করেই মূলত আরো একবার লঙ্কান ক্রিকেটে আরো একটা ঝড় বইয়ে দেয়ার খুব কাছে অবস্থান করছে জিম্বাবুয়ে।

এর আগে প্রথম ইনিংসে তারা ৩৫৬ রান করে জিম্বাবুয়ে। ওই ইনিংসে ক্রেইগ আরভিন ১৬০ রানের দারুণ এক ইনিংস খেলেন। জবাবে শ্রীলঙ্কা করে ৩৪৬ রান। অর্থাৎ ১০ রানের লিড পেয়ে যায় জিম্বাবুয়ে। এতেই অবশ্য একটা অর্জনে নাম লেখিয়ে ফেলে তারা। এতোদিন শ্রীলঙ্কার মাটিতে প্রথম ইনিংসে লিড নেয়ার কোনো নজির ছিলো না তাদের।