সামান্য আশার আলো নিয়ে দেশে ফিরলেন সিদ্দিক

চিকিৎসকরা বলে দিয়েছেন তার চোখে আলো ফেরার একটা ছোট্ট আশা আছে। চোখের আলো আপাতত না থাকলেও আশার এই আলোটা নিয়েই দেশে ফিরেছেন তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থী সিদ্দিকুর রহমান। আজ বিকেলে ঢাকা ফেরেন তিনি।

ঢাকা ফিরে বিমানবন্দরে সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন সিদ্দিক। তিনি বলেন, ‘আমার কারো প্রতি ক্ষোভ নেই। আমার ঘটনায় যাদের দায় আছে, রাষ্ট্র তাদের দেখবে, দোষ থাকলে বিচার করবে। আমি রাষ্ট্রের প্রতি কৃতজ্ঞ। আমার দেশের বাইরে গিয়ে চিকিৎসা করানোর সামর্থ্য ছিলো না। রাষ্ট্র আমার দায়িত্ব নিয়েছে। স্বাস্থ্যমন্ত্রী আমার খোঁজ নিয়েছেন।’

তিনি আরো বলেন, ‘আমার রক্ত-আমার চোখ অবশ্যই স্বার্থক হবে, যদি সাতটি কলেজের শিক্ষার্থীরা তাদের অধিকার পায়। আর আমি লেখাপড়া করে যেতে চাই। একটা সম্মানজনক সামাজিক অবস্থান চাই।’

চোখের অবস্থা সম্পর্কে সিদ্দিক বলেন, ‘ডাক্তার বলেছে লিটল হোপ আছে। হয়তো চোখে আলো ফিরতে পারে। আবার নাও ফিরতে পারে। এটা বোঝা যাবে অন্তত ছয় সপ্তাহ পর।’

উল্লেখ্য, গত ২০ জুলাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত সাতটি কলেজের শিক্ষার্থীরা পরীক্ষার রুটিন চেয়ে শাহবাগে অবস্থান নেন। এ সময় পুলিশের ছোড়া টিয়ার গ্যাসের শেল সরাসরি সিদ্দিকের চোখে লাগে। পরে তার একটি চোখ পুরোপুরি অচল হয়ে যায় এবং অন্য চোখও অচলের কাছাকাছি চলে যায়।

তার এই পরিস্থিতিতে চিকিৎসার দায়িত্ব নেয় সরকার। উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ভারতের চেন্নাইয়ের হাসপাতালে পাঠানো হয়।

এ দিকে, ডিএমপির সদর দপ্তরের গঠন করা তদন্ত দল তাদের প্রতিবেদনে জানিয়েছে, সিদ্দিকের দুর্ঘটনার দায় পুলিশের দাঙ্গা দমনকারী দলের সদস্যদের। তারা অদক্ষ ছিলো। খুব কাছ থেকে টিয়ার শেল সরাসরি চোখে ছুড়ে মেরেছিলো তারাই। সাতজন পুলিশকে দোষী সাব্যস্ত করে দেয়া সেই প্রতিবেদনের ভিত্তিতে শাস্তি প্রয়োগের চিন্তা করছে পুলিশ বিভাগ।

সিদ্দিকুরের বিষয়ে আরো কিছু খবর

সিদ্দিকুরকে টিয়ার শেল মারা পুলিশ কর্মকর্তা শনাক্ত

সিদ্দিকের চোখ হারানোর ঘটনায় সাত পুলিশ অভিযুক্ত

বাম চোখে \'একটু\' আলো অনুভূত হচ্ছে সিদ্দিকুরের

স্বাস্থ্যমন্ত্রী: সিদ্দিকুরকে চাকরি দেয়া হবে