ফের বাংলাদেশ সীমান্তে মিয়ানমারের গুলিবর্ষণ

বাংলাদেশের সীমান্তে ফের গুলিবর্ষণ করেছে মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিজিপি)। আকাশসীমা লঙ্ঘনের ঘটনার পর বাংলাদেশের প্রতিবাদ জানানোর একদিনের মাথায় সীমান্তে ফের এ ঘটনা ঘটালো বিজিপি। এর আগে তিন দফায় গত ২৭ ও ২৮ আগস্ট এবং ১ সেপ্টেম্বর মিয়ানমারের হেলিকপ্টার বাংলাদেশের আকাশে ঢুকে পড়ে আকাশসীমা লঙ্ঘন করে।

রোববার, ৩ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় বান্দরবান জেলার নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার তুমব্রু ও কক্সবাজারের ঘুমধুম সিমান্তে এ ঘটনা ঘটে। এ বিষয়ে বিজিবি ৩৪ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল মঞ্জুরুল হাসান বলেন, ‘ মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিপি প্রায়ই এ ধরনের ঘটনা ঘটিয়ে থাকে। ঘটনাস্থল থেকে এক রাউন্ড গুলি উদ্ধার করে আমাদের ক্যাম্পে দিয়ে গেছে স্থানীয়রা। পরে আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি।’

গুলিবর্ষণের পরপরই মিয়ানমার সীমান্তে সতর্ক অবস্থানে রয়েছে বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিবি। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, রোববার সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে বেশ কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুড়েছে বিজিপি। তবে এতে কোন হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। এ ঘটনায় বাংলাদেশ সীমান্তে বসবাসকারী নাগরিকদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আজিজ জানান, ‘তুমব্রু বাজারে ও আশেপাশে গুলি এসে পড়েছে। আমরা কয়েকটি গুলি সংগ্রহ করে স্থানীয় বিজিবি (বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ) ক্যাম্পে জমা দিয়ে এসেছি।’

জানা গেছে, মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিপি বাংলাদেশের দিকে কয়েক রাউন্ড গুলি বর্ষণ করেছে। এতে তুমব্রুর উত্তরপাড়ার আবদুল করিম সওদাগরের টিনের চাল ভেদ করে একটি গুলি ঘরে ঢুকে পড়ায় স্থানীয় বাজার ও আশপাশের বাসিন্দাদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।

এরআগে ২৬ আগস্ট, শনিবার দুপুরে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের তমব্রু এলাকায় শূন্যরেখায় আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের লক্ষ্য করে সীমান্তের ওপার থেকে গুলি চালিয়েছিল মিয়ানমারের বর্ডার গার্ড পুলিশ (বিজিপি)। ওই ঘটনার পর দেশটির রাষ্ট্রদূতকে তলব করেছিল ঢাকা।

*এই প্রতিবেদনে ব্যবহার করা বাড়ির দেয়ালের ছবিটি গত ২৬ আগস্ট তারিখে বিজিপির ছোড়া গুলিতে ক্ষতিগ্রস্থ হয়। যা বাংলাদেশের বেসরকারি চ্যানেল সময় টিভি থেকে ধারণ করা।