দলে ফিরেই দুর্দান্ত বায়ার্নকে উড়িয়ে দিলেন নেইমার

বার্সেলোনা ছেড়ে পিএসজিতে যোগ দেওয়ার পর থেকেই রীতিমতো উড়ছেন নেইমার। ব্রাজিল সুপারস্টারের কাঁধে ভর করে প্রতিপক্ষকে অসহায় বানিয়ে এগুচ্ছিল পিএসজি। তবে লিগে পিএসজির আগের ম্যাচটা হালকা ইনজুরির কারণে খেলতে পারেননি নেইমার। পিএসজিও খর্ব শক্তির মঁপেলিয়ের বিপক্ষে জিততে পারেনি। ইনজুরি কাটিয়ে বুধবার রাতে পিএসজির জার্সি গায়ে জড়িয়েছিলেন নেইমার। আর এক ম্যাচ পর ফিরেই দুর্দান্ত বায়ার্ন মিউনিখকে রীতিমতো একাই উড়িয়ে দিলেন ব্রাজিল অধিনায়ক।

কাল উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ম্যাচে ঘরের মাঠে জার্মানির শীর্ষ দল বায়ার্ন মিউনিখকে ৩-০ গোলে হারিয়েছে পিএসজি। দানি আলভেজের করা পিএসজির প্রথম গোলটা দুর্দান্ত ফুটবল দক্ষতায় বানিয়ে দিয়েছেন নেইমার। ম্যাচের শেষ গোলটা নিজেই করেছেন বিশ্বের সবচেয়ে দামি ফুটবলার। পিএসজির অপর গোলটি করেছেন এডিনসন কাভানি।

গোল না পেলেও হালের তারকা কিলিয়ান এমবাপ্পের কথাও বলতে হবে আলাদা করে। এডিনসন কাভানির গোলটা দারুণভাবে বানিয়ে দিয়েছেন এমবাপ্পে। আবার নেইমারের করা তৃতীয় গোলটাতেও এমবাপ্পের বড় অবদান।

ম্যাচের আগে পিএসজিকে বড় একটা খোঁচাই দিয়েছিল বায়ার্ন মিউনিখ। নেইমার-এমবাপ্পেকে কাড়িকাড়ি অর্থ ঢেলে দলে ভেড়ানোর প্রসঙ্গ টেনে বায়ার্ন উইঙ্গার অ্যারিয়েন রোবেন বলেছিলেন, ‘টাকা দিয়ে গোল পাওয়া যায় না।’ তাকে দলে টানতে পিএসজির ব্যাংক একাউন্ট অনেকটা ফাঁকা হয়েছে বলে কথাটা বুঝি বড্ড লেগেছিল নেইমারের!

তার ঝালই মিটিয়েছেন মাঠে। ম্যাচের দ্বিতীয় মিনিটে মাঝ মাঠের নিচে বল পেয়েছিলেন। তারপর ভোঁ-দৌড়। দুই ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে এবং অপর দুজনের ফাঁক গলে সুবিধাজনক স্থানে দাঁড়িয়ে থাকা দানি আলভেজকে বল বাড়িয়ে দেন। এরপর গোল করতে ভুল করেননি দানি আলভেজ, ১-০।

প্রতি আক্রমণে এমবাপ্পের গতিময় ফুটবলের ফসল হিসেবে ম্যাচের ৩১ মিনিটে ডি-বক্সের দাগে বল পেয়ে জোড়ালো শটে ব্যবধান দ্বিগুন করেন কাভানি। পুরো ম্যাচে দুর্দান্ত খেলা নেইমার গোল পেয়েছেন ম্যাচের ৬৩ মিনিটে। নিজেদের অর্ধ থেকে বল টেনে নিয়ে এমবাপ্পের দিকে বাড়ান দানি আলভেজ।

এমবাপ্পের পাস প্রতিপক্ষ ডিফেন্ডার প্রতিহত করেন। কিন্তু সেটা গিয়ে পরে নেইমারের সামনে। সহজ সুযোগ কাজে লাগাতে এতোটুকুও ভুল করেননি নেইমার। ৩-০ গোলে এগিয়ে যায় পিএসজি। নেইমার-এমবাপ্পে-কাভানির মতো ফুটবলার থাকলেও পিএসজি যে বায়ার্নকে তিন গোলে হারাবে এই কথা একদিন আগে অনেকেই বিশ্বাস করেনি।