দেম্বা বা: চীন কি জানে কোটি মুসলমানের কোরআন মুখস্ত?

নাগরিকদের ধর্মীয় স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ নতুন নয় চীনের কাছে। দেশটির দক্ষিণ-পশ্চিম প্রান্তের এশিয়া ম্যানর সংলগ্ন শিনজিয়ান প্রদেশের মুসলিম বাসিন্দাদের ঘরে ধর্মীয় গ্রন্থ কোরআন ও যাবতীয় ইসলামিক জিনিসপত্র জমা দিতে বলেছে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী। এমন কি কারো বাড়িতে তল্লাশিতে ইসলামি বই বা অন্য জিনিসপত্র পাওয়া গেলে কঠোর শাস্তির কথা বলছে। চীনের এমন হস্তক্ষেপের কড়া জবাব দিয়েছেন সেনেগালের তারকা ফুটবলার দেম্বা বা।

জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টুইটারে ৩২ বছর বয়সী এই ফুটবলার টুইট করেছেন, 'চীনারা হয়তো জানেই না মুসলিমদের কাছে গোটা পৃথিবীটাই জায়নামাজ। মুসলিমরা মেঝেতেই নামাজ পড়তে পারে। বিশ্বব্যাপী কোটি কোটি মুসলিম কোরআন না খুলেই মুখস্ত পড়তে পারেন। তারা যদি এটা জানতো তাহলে সম্ভবত চাইনিজরা মুসলিমদের হৃৎপিণ্ড খুলে তাদের কাছে হস্তান্তর করার আদেশ দিত।'

চীনের দক্ষিণ-পশ্চিম প্রান্তের প্রদেশটিতে কাজাখ, উইঘুর, কিরখিজের মতো সংখ্যালঘু মুসলিম জনগোষ্ঠির বাস। ধর্মপ্রাণ এসব মুসল্লির বাড়িতে রয়েছে কোরআন-সহ ধর্মীয় বিভিন্ন অনুসঙ্গ।রেডিও ফ্রি এশিয়া বলেছে, চীনা প্রশাসন জানিয়েছে, ইসলাম ধর্মের পরিচয় বহন করে এমন সকল পণ্য তাদের হাতে দিতে হবে। এমনকি প্রশানের কাছে জমা দিতে হবে নামাজ পড়ার জায়নামাজও।

{loadtweets}url=913489466605604865{/loadtweets}

এবারই প্রথম নয় চীনা সরকারের এমন ইসলাম বিদ্বেষী মনোভাবের মুখে পড়েছেন শিনজিয়ান প্রদেশের বাসিন্দারাও। গত এপ্রিলে চীনা সরকার মুসলমানদের সন্তানদের ইসলামী নাম রাখার বিষয়ে নিষেধাজ্ঞা জারি করে। চীন সবসময় তাদের দেশে বসবাসকারী মুসলমানদের কোনঠাসা অবস্থায় রেখেছে। এরআগে গত রমজান মাসে মুসলমানদের ধর্মীয় আচার রোজা পালনে নিষেধাজ্ঞা জারি করে।

চীনের বাইরের মুসলমান রাষ্ট্রগুলোর ব্যাপারেও সদয় নয় চীন। জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের সর্বশেষ অধিবেশনে বিশ্বের সকল দেশ যখন মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গা মুসলিম নির্যাতনের ব্যাপারে তাদের সহানুভুতি জানিয়েছে তখনও চুপ ছিল চীন।