মন্ত্রীরাও বিশ্বাস করেননি এভাবে পদ্মা সেতু হবে!

বিশ্বব্যাংকের সাহায্য ছাড়া পদ্মা সেতু হবে মন্ত্রীরাও বিশ্বাস করেননি বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, 'পদ্মা সেতু আমরা করতে পারব এটা অনেকেই বিশ্বাস করতে চায়নি। আমাদের অনেক সিনিয়র ক্যাবিনেট সদস্যও বিশ্বাস করেননি। তাদের বিশ্বাস ছিল, বিশ্বব্যাংকের সাহায্য ছাড়া এটা (পদ্মা সেতু নির্মাণ) সম্ভব নয়।'

শনিবার যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য সফর শেষে দেশে ফিরে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ভিভিআইপি লাউঞ্জে এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। এসময় সরকারের উচ্চপদস্ত মন্ত্রী, আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, 'যখন অর্থায়নের কথা বলেছি, দেশ-বিদেশে অভূতপূর্ব সাড়া পেয়েছি। আস্থা অর্জন করা একজন রাজনীতিকের জীবনের জন্য সবচেয়ে বড় পাওয়া। যখন পদ্মা সেতুতে প্রথম স্প্যান বসল, সত্যি কথা বলতে কী, এসব ছবি, ভিডিও দেখে আমরা দুই বোন কেঁদেছি। অনেক অপমানের জবাব আমরা দিতে পারলাম।'

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, 'পদ্মা সেতু নিয়ে আমাদের সরকার, আমার পরিবারের ওপর অনেক অপবাদ দেওয়া হয়েছে। বিভিন্ন স্থানে আমাদের হেয় করা হয়েছে। মানুষকে (বিরোধী দল) বিভ্রান্ত করতে চেয়েছে। কিন্তু এটি দৃশ্যমান হওয়ায় সেসব অপমানের জবাব দেওয়া হয়েছে।'

বিশ্বব্যাংক অপবাদ দিয়েছে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, 'বিশ্বব্যাংকের একজন এখানে এসে আমার নামে অপবাদ দিয়েছে। পরে দুর্নীতির কথা বলে এই পদ্মা সেতুর অর্থায়ন বন্ধ করে দেওয়া হয়। আমরা বিশ্ব্যবাংকের অর্থায়ন না করার বিষয়ে চ্যালেঞ্জ নিয়েছি। আমাকে, রেহানাকে, আমার ছেলে-মেয়েকে দুনীতির তদন্তের নামে তারা আন্তর্জাতিক সংস্থা দিয়ে এমন মানসিক যন্ত্রণা দিয়েছে। সেটা আন্তর্জাতিকভাবে আমাদের জন্য ছিল দুঃসময়। এখন শুনছি, সেই (আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) সাবেক প্রধান কৌঁসুলি লুই মোরেনো ওক্যাম্পো) তদন্তকারীর নামেই দুর্নীতির নানা তথ্য বেরিয়ে আসছে।'

শেখ হাসিনা আরো বলেন, 'সত্যের জয় হয়তো তাৎক্ষণিক হবে না। মিথ্যার জয় তাৎক্ষণিক হয়। কিন্তু আসলে সময়মতো সত্যের জয় হবেই। ২০০১ সালে যখন গ্যাস দেওয়ার কথা বলা হয়েছিল, তখনও আমি যেটা সত্য সেটা বলেছিলাম। আমাকে তার খেসারত দিতে হয়েছিল।'