অবশেষে বিচারপতি মানিকের কথাই সত্যি হলো!

অবশেষে আপিল বিভাগের সাবেক বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিকের কথাই সত্যি হলো। অস্ট্রেলিয়ায় বসবাসরত মেয়ের সঙ্গে থাকার জন্য পাঁচ বছরের জন্য সস্ত্রীক ভিসার আবেদন করেছেন প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা। দেশের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় ইংরেজি দৈনিক দ্য নিউ এজ'র এক প্রতিবেদনে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়।

সুপ্রিম কোর্ট এবং ভিসা প্রসেসিং সেন্টারের সূত্র বরাত দিয়ে প্রকাশিত ওই প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, গত বৃহস্পতিবার গুলশানে ডেল্টা লাইফ টাওয়ারে অবস্থিত অস্ট্রেলিয়ার ভিসা অ্যাপ্লিকেশন সেন্টারে সস্ত্রীক যান সুরেন্দ্র কুমার সিনহা। সেখানে বায়োমেট্রিক পদ্ধতির মাধ্যমে তারা পৃথকভাবে ভিসা অ্যাপ্লিকেশনের জন্য আবেদন করেন। 

সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের রায়ের প্রতিক্রিয়ায় প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহার উদ্দেশে বিচারপতি মানিক বলেছিলেন, 'তুমি শুধু প্রধান বিচারপতির পদ ছাড়বা না, এই দেশ ছাড়তে হবে। তুমি যখন বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্ব স্বীকার কর না, এ দেশে থাকার কোনো অধিকার তোমার নাই।' গত ২৬ আগস্ট ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে স্বাধীনতা পরিষদ নামের এক সংগঠনের আলোচনা সভায় বিচারপতি মানিক ওই কথাগুলো বলেছিলেন। চিত্তরঞ্জন দাসের সভাপতিত্বে আলোচিত ওই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।

বিএনপি প্রধান বিচারপতির ‘ঘাড়ে বসে’ রাজনীতি করতে চাইছে বলে মন্তব্য করে অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ড. হাছান মাহমুদ বলেছিলেন, 'আওয়ামী লীগ সরকার অসাম্প্রদায়িক চেতনায় বিশ্বাসী- এমনটা প্রমাণ করতে অপেক্ষাকৃত কম যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও প্রধান বিচারপতি পদে এস কে সিনহাকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল। আর এই প্রধান বিচারপতি এখন দুর্নীতিকে প্রশ্রয় দিচ্ছেন।'

উল্লেখ্য, দেশের ইতিহাসে আলোচিত-সমালোচিত একাধিক মামলার বিচারক ছিলেন এএইচএম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক। ২০০১ সালের জুলাই মাসে হাইকোর্ট বিভাগে অতিরিক্ত বিচারক হিসেবে তিনি নিয়োগ পান। কিন্তু বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার আমলে দুই বছরের মেয়াদ শেষে তাকে হাইকোর্টে স্থায়ী নিয়োগ দেওয়া হয়নি। পরে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর আইনি লড়াই করে ২০০৯ সালের ২৫ মার্চ তিনি হাইকোর্টে স্থায়ী হন। ২০১৩ সালের ৩০ মার্চ আপিল বিভাগের বিচারপতি হিসেবে শপথ নেন। ২০১৫ সালের ১ অক্টোবর তিনি আপিল বিভাগ থেকে অবসরে যান।