এবার ডাবল সেঞ্চুরি হাঁকালেন নাঈম ইসলাম

জাতীয় দলে তিনি অনেক দিন ধরেই ব্রাত্য। কিন্তু ক্রিকেটটা যে মিশে গেছে অস্তিমজ্জায়। জাতীয় দলের ভাবনায় তো আর অস্তিমজ্জাকে অস্বীকার করে বসে থাকার জো নেই। নাঈম ইসলাম তা থাকেনওনি। বরং যখন যেখানে সুযোগ পাচ্ছেন দেখাচ্ছেন তার ব্যাটের ক্ষমতা। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে বাংলাদেশের হয়ে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২২টি সেঞ্চুরি করা নাঈম তার ২৩তম সেঞ্চুরিটিকে ডাবল সেঞ্চুরিতে পরিণত করে ছেড়েছেন। এটিই তার ক্যারিয়ারের প্রথম ডাবল সেঞ্চুরি।

চলমান ওয়ালটন জাতীয় ক্রিকেট লিগে এর মধ্যেই একটি সেঞ্চুরি করে রেখেছিলেন নাঈম। এবার পেলেন দ্বিতীয়টি। সব মিলিয়ে এবারের লিগে তার সেঞ্চুরি হলো এই দুটিই। গত জাতীয় লিগে তার ব্যাট থেকে এসেছিলো চারটি সেঞ্চুরি। সবশেষ ১১টি প্রথম শ্রেণির ম্যাচে নাঈমের ব্যাট থেকে এলো মোট ছয়টি সেঞ্চুরি। নাঈম যে ক্যারিয়ারের সবচেয়ে উর্বর সময়ে বাস করছেন, তা নিশ্চয় আর বলে দেয়ার দরকার নেই।

জাতীয় লিগের চলতি রাউন্ডে নাঈমের রংপুর বিভাগ খেলছে ঢাকা বিভাগের সঙ্গে। ম্যাচের প্রথম দিনেই সেঞ্চুরি করে রেখেছিলেন নাঈম। দ্বিতীয় দিনের প্রথম সেশনে ছাড়িয়ে যান দেড়শ রান। এরপর দ্বিতীয় সেশনে তুলে নেন নিজের প্রথম ডাবল সেঞ্চুরি; ছাড়িয় যান আগের ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ ১৮৫ রানের ইনিংসটি।

নাঈম সর্বশেষ জাতীয় দলের হয়ে দীর্ঘ পরিসরের ক্রিকেট খেলেছেন ২০১২ সালে, ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে হোম সিরিজে। ওই সিরিজে টেস্ট ক্যারিয়ারের একমাত্র সেঞ্চুরিটি করেন তিনি। সেঞ্চুরিটি করার পর আরো একটি ম্যাচে জাতীয় দলে ছিলেন নাঈম। তারপর যে নির্বাচকদের চোখের আড়াল হলেন, আর ডাক পাননি জাতীয় দলে। অথচ ঘরোয়া ক্রিকেটে বছরের পর বছর ধরে পারফর্ম করে যাচ্ছেন ৩০ বছর বয়সী এই ব্যাটসম্যান।

নাঈম মোট আটটি টেস্ট খেলেছেন। তাতে একটি করে হাফ সেঞ্চুরি ও সেঞ্চুরি আছে তার। ১৫ ইনংসে রান করেছেন গড়ে ৩২ করে। ডানহাতি এই ব্যাটসম্যান ওয়ানডে খেলেছেন মোট ৫৯টি। সাধারণত ছয়, সাত বা আট নম্বরে ব্যাটিং করে গড়ে ২৭-এর বেশি করে রান করেছেন তিনি। আছে পাঁচটি হাফ সেঞ্চুরিও।

ঘরোয়া ক্রিকেটে দুর্দান্ত সব ইনিংস খেলে যে কজন ব্যাটসম্যান দীর্ঘদিন পর জাতীয় দলে ফেরার মিছিলে আছেন, নাঈম তাদের একজন। যদিও কদিন আগে দুই বছরের বিরতির পর বিসিবি যে ‘এ’ দল ঘোষণা করেছে, তাতে জায়গা হয়নি তার। তবে খুব সম্ভবত সামনে তিনি একটা সুযোগ পেয়ে যেতে পারেন।