মাল্টা চাষে বদলে গেছে আব্দুল করিমের জীবন

অর্থনৈতিকভাবে স্বচ্ছলতা পেতে জীবনের বিভিন্ন ধাপে নানারকমের চেষ্টা চালিয়েছেন যশোর অঞ্চলের মুজগুন্নী গ্রামের আব্দুল করিম। প্রথমে পোলট্রি ফার্ম করে লোকসান তারপর জৈব প্রযুক্তিতে সার তৈরি নিয়ে কাজ করেও ব্যর্থ হন তিনি। সবশেষ মাল্টা চাষের উদ্যোগ নিয়ে সফলতার মুখ দেখেছেন তিনি।

আব্দুল করিম ২০১৪ সালে ৪২ শতক জমিতে ১৪০টি মাল্টার চারা রোপন করেছিলেন। এ বছরে সবগুলো গাছে দেখা গেছে থোকা থোকা রসালো ফল। তিনি প্রতি মণ মাল্টা বিক্রি করছেন ৬ হাজার টাকায়। 

আব্দুল করিম বলেন, '১০ বছর আগে পোল্ট্রি খামারের কাজ শুরু করি। কিন্তু খামারে মড়কের কারণে সর্বশান্ত হয়ে যাই। কিছুদিন পর জৈব প্রযুক্তির কেঁচো সার তৈরি শুরু করি। তাতেও খুব একটা সুবিধা করে উঠতে পারিনি। এরপর ২০১৪ সালে জমিতে মাল্টার চারা রোপন করি।’

১৪০ টি মাল্টা চারা রোপন করতে ৫৫ হাজার টাকা খরচ হয় আব্দুল করিমের। বাগানের সব গাছে এ বছর ফল এসেছে। এখন পর্যন্ত বিক্রি করা ফল বাদেও বাগানে থাকা অবশিষ্ট ফলের বাজার দর নূন্যতম ১ লাখ ২০ হাজার টাকা বলে জানান তিনি। ফল ছাড়াও দুই বছর ধরে এসব গাছ থেকে তৈরি করা কলম বিক্রি করছেন। প্রতিটি চারা ১৫০ টাকায় বিক্রি করে বছরে ১ লাখ টাকাও বেশি আয় করছেন।

আব্দুল করিম বলেন, 'অনেক কিছু করার চেষ্টা করেছি অর্থনৈতিক সফলতার জন্য। কিন্তু সব কিছুতেই প্রায় ব্যর্থ হয়েছি। অবশেষে মাল্টা চাষে সুদিন ফিরেছে। এই মাল্টা চাষ নিয়েই আগামী দিনের স্বপ্ন দেখছি। আরও দুই বিঘা জমিতে মাল্টা চাষ করার প্রস্তুতি নিচ্ছি। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সব ধরণের সহায়তা করছেন মাল্টা চাষে।'

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সুশান্ত কুমার তরফদার বলেন, 'আব্দুল করিমের মাল্টা চাষে সফলতা অন্য বেকার যুবকদের অনুপ্রাণিত করছে। আমাদের তরফ থেকে আব্দুল করিমকে সব ধরণের সহায়তা দেয়া হচ্ছে। তার চাষ করা মাল্টার মানও বেশ ভালা।'