ঢাবি ভর্তি পরীক্ষায় জালিয়াতি, ছাত্রলীগ নেতাসহ ৩ জন রিমান্ডে

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘ঘ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় জালিয়াতির অভিযোগে গ্রেফতার কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক ও ঢাবির পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র মহিউদ্দিন রানাসহ তিনজনকে চার দিনের রিমান্ড দিয়েছে আদালত।

শনিবার, ২১ অক্টোবর সিআইডি (ক্রিমিনাল ইনভেসটিগেশন ডিপার্টমেন্ট) ওই তিনজনকে ঢাকা মূখ্য মহানগর হাকিম (সিএমএম) আদালতে হাজির করে সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম আক্তারা মাহমুদা বেগম প্রত্যেকের চার দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

রিমান্ডে নেয়া অপর দুই জন হলেন- অমর একুশে হল শাখা ছাত্রীগের নাট্য ও বিতর্ক বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুন ও জনৈক ইশরাক হোসেন রাফি। মামুন ফলিত রসায়ন বিভাগের ছাত্র।

প্রসঙ্গত, গতকাল শুক্রবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘ঘ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় জালিয়াতির অভিযোগে মোট ১৫ জনকে আটক করা হয়। এদের মধ্য থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডি ১২ জনকে সাজা দিয়েছে। বাকি তিন জনের বিরুদ্ধে বিরুদ্ধে শাহবাগ থানায় মামলা দেয়া হয়েছে। এ মামলায় আজ তাদের রিমান্ডে পাঠিয়েছে আদালত। এ মামলার তদন্তের দায়িত্বে রয়েছেন সিআইডির সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মহিবুল ইসলাম।

গতকাল আটক বাকি ১২ জন হলেন- নুর মো. মাহবুব, ফরহাদুল আলম রানা, ইশরাক হোসেন রাফি, আব্দুল্লাহ আল মুকিম, রিশাদ কবির, আসাদুজ্জামান মিনারুল, ইশতিয়াক আহমেদ, জয় কুমার সাহা, রেজওয়ানা শেখ শোভা, মাশুকা নাসরীন, তারিকুল ইসলাম ও নাছিরুল হক নাহিদ।

এবারের পরীক্ষায় প্রতি আসনের বিপরীতে ৬১ জন শিক্ষার্থী লড়ছেন। উচ্চমাধ্যমিকে বিজ্ঞান, ব্যবসায় শিক্ষা, মানবিকসহ প্রায় সব বিভাগের যোগ্য শিক্ষার্থীরা এই পরীক্ষায় অংশ নেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি-ইচ্ছুক শিক্ষার্থীদের জন্য সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের অধীন এই ইউনিটের পরীক্ষা তাদের জন্য প্রায় শেষ সুযোগ হিসেবে গণ্য করেন অনেক শিক্ষার্থী।

‘ঘ’ ইউনিটে ১২০ নম্বরের বাংলা, ইংরেজি ও সাধারণ জ্ঞানের পরীক্ষা হয়। যারা মাতৃভাষা হিসেবে বাংলা পড়েননি, তাদের জন্য বাংলার পরিবর্তে প্রশ্নপত্রে উচ্চতর ইংরেজি অংশ থাকে। আর সাধারণ জ্ঞানে বাংলাদেশ বিষয়াবলি ও আন্তর্জাতিক বিষয়াবলি দুটি অংশ থাকে।