দুর্দদশার ওয়ানডে সিরিজ ভীতি ছড়ালো মাশরাফির মনেও

এর আগে কখনোই তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে হাজারের উপরে রান দেয়ার মতো বোলিং করেনি বাংলাদেশ। এবার সেটাও হলো। ইংল্যান্ড, ভারত ও জিম্বাবুয়ের পর তৃতীয় দেশ হিসেবে তিন ম্যাচের সিরিজে হাজারের উপর রান দিলো বাংলাদেশ। যা ভীতি ছড়িয়ে দিয়েছে মাশরাফির মনেও।

দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে তিন ওয়ানডেতে বাংলাদেশ হেরেছে যথাক্রমে ১০ উইকেটে, ১০৪ রানে এবং ২০০ রানে। একেকটি হার যেনো ছাড়িয়ে যেতে চাইছে আরেকটিকে। এই সিরিজটি বাংলাদেশকে সতর্কবার্তা দিয়ে গেলো বলে মনে করছেন মাশরাফি।

সিরিজ শেষের সংবাদ সম্মেলনে মাশরাফি বলেছেন যে, এই মুহূর্তে বাংলাদেশ দলের উচিত আত্ম-সমালোচনা করা এবং ভবিষ্যতে বিদেশে কিভাবে খেলতে হবে সে বিষয়ে খেলোয়াড়দের যথাযথ নির্দেশনা দেয়া। বিশ্বকাপ সামনে রেখে এখনই বাংলাদেশের উচিত সব কিছু বদলে ফেলা।

মাশরাফি বলেন, ‘এই সিরিজটি বাংলাদেশের জন্য বিপদঘণ্টা বাজিয়ে দিলো। সামনে বিশ্বকাপ আসছে, আরো দ্বিপাক্ষিক সিরিজ আসছে; তার আগে আমাদের ভুলগুলো চিহ্নিত করতে হবে এবং সমাধান করতে হবে।’

বাংলাদেশ অধিনায়ক আরো বলেন, ‘বোলিংয়ে বা ব্যাটিংয়ে, কোথাও আমরা আত্মবিশ্বাস পাচ্ছি না। আমরা কন্ডিশনের সঙ্গেও মানিয়ে নিতে পারিনি। আমাদের দ্রুত এই সবের সমাধান করতে হবে। না হলে ভবিষ্যতের বিদেশ সফর ভয়ানক কঠিন হবে।’

ব্যাটসম্যান বা বোলার, কেউই দায়িত্ব নিয়ে খেলতে পারেননি বলে মন্তব্য করেন মামরাফি। তিনি বলেন, ‘একজন খেলোয়াড় কেনো পারফর্ম করতে পারছে না, এটা খুঁজে বের করতে হবে। দক্ষিণ আফ্রিকায় অনেক অনেক অনুশীলন করলেই এই সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে, এমন কিছু আমি মনে করি না। এটা একটা দীর্ঘ মেয়াদী ব্যাপার। আমাদের এ ধরনের উইকেটে খেলার জন্য প্রস্তুত হয়ে উঠতে হবে।’

সিরিজটি মাশরাফির জন্যও ছিলো অত্যন্ত বেদনার। ২০০৮ সালের পর এই প্রথম তিন ম্যাচে একটাও উইকেট পাননি তিনি। মাশরাফি বলেন, ‘এটা খুবই কঠিন সিরিজ ছিলো। আমিও ব্যক্তিগতভাবে দুর্ভাগা ছিলাম। আমার আরো আগ্রাসী হওয়া উচিত ছিলো। যেভাবে আমি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে আগ্রাসী ছিলাম।’

মাশরাফি আরো বলেন যে, যে ধরনের উইকেটে ৩০০ বা সাড়ে ৩০০ রান খুবই সাধারণ ব্যাপার, সে ধরনের উইকেটে কিভাবে বোলিং করতে হবে বোলারদের তা শিখতে হবে। না হলে ভবিষ্যতে যে আরো ভয়ানাক বিপদে পড়তে হবে সেটাও মনে করিয়ে দিয়েছেন অধিনায়ক।