‘নির্বাচন বয়কট করবেন না প্লিজ...’ বিএনপিকে অনুরোধ

বিএনপিকে আগামী নির্বাচনে অংশ নেয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, 'আগামী নির্বাচনে বিএনপি অংশ নেবে–এটা অবশ্যই জনগণ আশা করে। বিএনপির অংশগ্রহণ আমাদেরও প্রত্যাশা।' বিএনপিকে অনুরোধ জানিয়ে কাদের বলেন, 'নির্বাচনটা বয়কট করবেন না প্লিজ...।'

সোমবার (২৩ অক্টোবর) বিকালে ধানমন্ডিস্থ আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয়ে সম্পাদকমণ্ডলীর বৈঠক শেষে ক্ষমতাসীনদের প্রভাবশালী নেতা ও মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এই আহ্বান জানান। তিনি বলেন, 'জাতীয় ও গণতন্ত্রের স্বার্থে আওয়ামী লীগ চায় সকল দল নির্বাচনে অংশগ্রহণ করুক। জনগণের পাশাপাশি আমাদেরও প্রত্যাশা বিএনপি অবশ্যই নির্বাচনে আসুক।'

গতকাল ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজের সঙ্গে বৈঠক শেষে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছিলেন, 'আমরা আশাবাদী'। ফখরুলের এমন বক্তব্যের প্রেক্ষিতে সেতুমন্ত্রী বলেন, 'সুষমা স্বরাজ বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও বিরোধীদলীয় নেত্রী রওশন এরশাদের সঙ্গে সাক্ষাত করেছেন। আলাপকালে আগামী নির্বাচন সকল দলের অংশগ্রহণে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা বলেছেন। এতেই মির্জা ফখরুল সাহেব আশাবাদী। তবে আমরা আগে থেকেই আশাবাদী। আওয়ামী লীগও চায় সকলের অংশগ্রহণে একটি গ্রহণযোগ্য নিবার্চন অনুষ্ঠিত হোক। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও সবসময় নির্বাচনে সকল দলের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার জন্য সরকার প্রধান হিসেবে সবকিছু করছেন।’

মির্জা ফখরুল বলেছিলেন, 'সুষ্ঠু নির্বাচন হলে আর বিএনপি ভোটের লড়াইয়ে এলে আওয়ামী লীগ ২৫ সিট পাবে।' এর জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, 'বিএনপি কি ২৫ সিট দেয়ার মালিক? তাদের মনে থাকার কথা তারা যখনি ৩০ সিট দেয়ার কথা বলেছিল সেবার তারাই ৩০ সিট পেয়েছিল। জনগণই ক্ষমতার সকল উৎস। আমরা জনগণের ওপর ভরসা রাখি।'

সহায়ক সরকার প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, 'সহায়ক সরকার নির্বাচন কমিশনের এখতিয়ারে নেই। তারপরও তারা এ বিষয়ে কথা বলছেন। সুষমা স্বরাজ কিন্তু সহায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন হবে– এমন কথা বলেননি। বরং বলেছেন, আমাদের দেশে ও অন্যান্য গণতান্ত্রিক দেশে ক্ষমতাসীনদের অধীনেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।'

সেনা মোতায়েন প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, 'বিএনপি ক্ষমতায় থাকাকালে কিন্তু কোনো নির্বাচনে সেনাবাহিনীকে নির্বাহী ক্ষমতা দেয়নি। তারা নিজেরা চর্চা করে না, সেটা অন্যদের ক্ষেত্রে কেন বলবে। তারপরও আমরা সেনা মোতায়নের বিরুদ্ধে নই। প্রয়োজনে সেনা মোতায়েন হবে সেটা অবশ্যই আইন অনুযায়ী। নির্বাচনে কমিশন মনে করলে মোতায়েন হতে পারে।'

ইতোমধ্যে দেশব্যাপী আওয়ামী লীগের ৪২ লাখ সদস্য সংগ্রহ হয়েছে বলে জানান তিনি। খুব দ্রুতই এই সংখ্যাটা কোটি ছাড়াবে বলে মনে করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

বৈঠকে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, আওয়ামী লীগের সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য মাহবুবউল আলম হানিফ, জাহাঙ্গীর কবির নানক, হাছান মাহমুদ, বিএম মোজ্জাম্মেল হক, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, এনামুল হক শামীম, খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, আবদুস সোবহান গোলাপ, আফজাল হোসেন, শাম্মী আহমেদ, অসীম কুমার উকিল, রোকেয়া সুলতানাসহ আরো অনেকে।