`রমজান' নেকী অর্জনের মাস
- Details
- by রামাদান
মানুষের জন্য রমজানের রোজা মহান আল্লাহ তায়ালার পক্ষ থেকে একটি বিশেষ নেয়ামত। রমজানে প্রত্যেকটি ভালো কাজের জন্য আল্লাহর পক্ষ থেকে বিশেষ প্রতিদান পাওয়া যাবে। রহমত, বরকত ও মাগফিরাতে পরিপূর্ণ এ মাসের কার্যাবলীর মধ্যে বাহ্যিক কার্যাবলীসমূহ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
রমজান মাস হচ্ছে নেকী অর্জনের মাস। এই মাসে যে কোনো ভালো কাজের সওয়াব সত্তর গুণ বেশি হয়। তাই ধর্মীয় বিশেষজ্ঞগণ এ মাসে বেশি বেশি নফল নামাজ আদায় করার পরামর্শ দেন।
প্রত্যেক ঈমানদারের উচিত রমজান মাসে বেশি বেশি নফল নামাজে ব্যস্ত থাকা। এর ফলে পূণ্যের পরিমাণ বৃদ্ধি পেতে থাকবে। যেহেতু রমজান মাসে শয়তান আবদ্ধ থাকে তাই শয়তান মানুষকে ধোঁকা দিতে পারে না। সুতরাং শয়তানের কু-পরামর্শে পড়ার সম্ভাবনাও থাকে না।
হযরত মোহাম্মদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, ‘রমজানের আগমন ঘটলে জান্নাতের দরজাসমূহ খুলে দেয়া হয়, জাহান্নামের দরজাসমূহ বন্ধ করে দেয়া হয় এবং শয়তানকে শৃঙ্খলিত করা হয়।’
(বুখারি শরীফ)
এছাড়া এই মাসে বেশি বেশি কোরআন তিলাওয়াতের কথা বলা হয়। পবিত্র কুরআন মানব জাতির জন্য আল্লাহর পক্ষ থেকে শ্রেষ্ঠ উপহার। পবিত্র কুরআন নাযিলের মাসও রমজান মাস। ফলে রমজান মাসের বিশেষ একটি মর্যাদা রয়েছে।
আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘আমি রমজান মাসে কুরআন অবতীর্ণ করেছি মানব জাতির হিদায়াতের জন্য।’
(আল কোরআন, সূরা বাক্বারাহ, আয়াত নং ১৮৫)
সুতরাং নিঃসন্দেহে এ মাসে সবার বেশি বেশি কোরআন তেলাওয়াত করা উচিত।
আপনি আরও পড়তে পারেন
‘আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের চেষ্টা করা উচিত’
তারাবীহ নামাজ আদায়কারীর সব গুনাহ মাফ
‘যে রোজা পায়, সে যেনো রোজা রাখে’
গুগল নিউজে আমাদের প্রকাশিত খবর পেতে এখানে ক্লিক করুন...
খেলাধুলা, তথ্য-প্রযুক্তি, লাইফস্টাইল, দেশ-বিদেশের রাজনৈতিক বিশ্লেষণ সহ সর্বশেষ খবর