মেসি নয়, রোনালদোর হাতেই ব্যালন ডি’অর

বিষয়টি অনুমিতই ছিল। পুরস্কারটা ব্যাক্তিগত হলেও দলগত সাফল্য বড় ভূমিকা রাখে ব্যালন ডি’অরে। আর গত এক বছরে দলগত অর্জনে লিওনেল মেসির চেয়ে যোজন যোজন এগিয়ে ছিলেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো। ফলে অনুমিতভাবে রোনালদোর হাতেই উঠেছে ব্যালন ডি’অর।

গত বছর রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জিতেছেন, লা লিগা জিতেছেন, সুপার কাপ জিতেছেন। পর্তুগালকে বিশ্বকাপের টিকিট পাইয়ে দিতে বড় ভুমিকা রেখেছেন রোনালদো। সে হিসেবে মেসির ভান্ডারে তেমন কোন শিরোপা নেই। কোপা দেল রে জিতেছেন শুধু। বিশ্বকাপ বাছাই পর্বে বেশ ধুকেছে মেসির আর্জেন্টিনা।

সব মিলিয়ে এবার রোনালদোর ব্যালন ডি’অর পাওয়াটা বেশ অনুমিত ছিল। গতবারও ব্যালন ডি’অর জিতেছিলেন রোনালদো। অর্থাৎ টানা দুইবার ব্যালন ডি’অর জিতলেন সিআর সেভেন। এর আগেও টানা দুবার (২০১৩ ও ২০১৪ সালে) ব্যালন ডি’অর জিতেছেন রোনালদো। তবে এবারেরটি জয়ের ফলে লিওনেল মেসিকে ধরে ফেললেন পর্তুগিজ যুবরাজ। পাঁচটি জিতে এতোদিন এককভাবে সর্বোচ্চ ব্যালন ডি’অর জয়ী ছিলেন লিওনেল মেসি। আজকেরটি দিয়ে রোনালদোরও পাঁচটি হয়ে গেল।

২০০৮ সালে প্রথম ব্যালন ডি’অর জিতেছিলেন রোনালদো। তারপর যথাক্রমে ২০১৩, ২০১৪ ও ২০১৬ সালে সোনালি ট্রফিটি উচিয়ে ধরতে পেরেছেন। আর মেসি জিতেছেন ২০০৯, ২০১০, ২০১১, ২০১২ ও ২০১৫ সালে।

নেইমারসহ ব্যালন ডি’অর জয়ে প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন মোট ৩০জন। তবে প্রতিযোগিতা আসলে মেসি-রোনালদোর মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল একথা এক বাক্যে মানবেন সকলেই। ফুটবলে সেরার যে কোন প্রতিযোগিতা অনেক বছর ধরেই মেসি-রোনালদোর মধ্যে সীমাবদ্ধ। সেই ২০০৮ সাল থেকে এখন পর্যন্ত এই দুজন ছাড়া অন্য কেউ জিতেনি বর্ষসেরার পুরস্কার।

ফ্রাঞ্চের ফুটবল সাময়িকী ‘ফ্রান্স ফুটবলে’র আয়োজনে ব্যালন ডি’অর দেওয়া হয়। এবার বিশ্বের নির্বাচিত ১৭৩জন সাংবাদিকের ভোটে নির্ধারিত করা হয় ব্যালন ডি’অর জয়ীকে।

২০১০ সাল থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত ফিফার বর্ষসেরা পুরস্কারের সঙ্গে একত্রিত হয়ে ‘ফিফা ব্যালন ডি’অর’ নামে দেওয়া হতো পুরস্কারটি। ২০১৫ সালের পর থেকে ফিফা আলাদা হয়ে যায়। তারপর দু’বছর ধরে আবারো শুধু ব্যালন ডি’অর পুরস্কার নামে দেওয়া হচ্ছে এই পুরস্কার।