মওদুদ: বিএনপির একমাত্র বিকল্প হলো রাজপথ

বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ বলেছেন, আমরা অনেক ধৈর্য ধরেছি, সহ্য করেছি, সমঝোতার কথা বলেছি। কিন্তু আওয়ামী লীগ সমঝোতা চায় না, সংঘাত চায়। তাই বিএনপির সামনে একমাত্র বিকল্প হলো রাজপথ।

শুক্রবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে নাগরিক অধিকার আন্দোলন ফোরাম আয়োজিত ‘৫ জানুয়ারি কলঙ্কিত নির্বাচন এবং বর্তমান প্রেক্ষাপট’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

দলীয় সরকার নয় বরং সহায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন করবেন জানিয়ে মওদুদ বলেন, ‘২০১৪ আর ২০১৮ এক নয়। এবার আমরা নির্বাচন করব, সেজন্য প্রস্তুতি নেব। কিন্তু দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের জন্য নয়। তাই উপযুক্ত সময়ে আমরা কর্মসূচি দেবো। তখন গণআন্দোলনের মধ্য দিয়ে সরকার বাধ্য হবে বিদায় নিতে।’

আওয়ামী লীগের ‘রাজনৈতিক রসায়নের’ মধ্যে গোলমাল আছে দাবি করে মওদুদ বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধে আওয়ামী লীগের ভূমিকা আছে, কিন্তু স্বাধীনতার পর তাদের ভূমিকা নিয়ে অনেক প্রশ্ন আছে। তারা এখন অবলীলায় মিথ্যা কথা বলছে।’

গত বিএনপি সরকারের সময় আইনমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করা মওদুদ বলেন, ‘আওয়ামী লীগ মুখে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার কথা বলে, কিন্তু তারাই বিরোধী দলের সভা-সমাবেশের অধিকার হরণ করে। তারা আইনের শাসন ও বিচার বিভাগের স্বাধীনতায় বিশ্বাসী নয়। মামলাকে হাতিয়ার হিসেবে নিয়ে তারা বিরোধী দল দমন করছে।’

২০১৪ সালে কোনো নির্বাচন হয়নি উল্লেখ করে ওই দিনটি বাংলাদেশের সবচেয়ে কলঙ্কিত দিন বলে মন্তব্য করে ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ বলেন, ‘২০১৪ সালের নির্বাচনকে সরকার সংবিধান রক্ষার নির্বাচন বলে। কিন্তু ওই নির্বাচন সংবিধান অনুযায়ী হয়নি। আমরা বিচার বিভাগের দুর্বলতার কারণে আইনের মাধ্যমে মোকাবেলা করতে পারিনি।’

নাগরিক অধিকার আন্দোলন ফোরামের সহসভাপতি আলহাজ ভিপি ইব্রাহিমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক এম জাহাঙ্গীর আলম। এতে বক্তব্য দেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আহমেদ আজম খান, নির্বাহী কমিটির সদস্য ইসমাইল হোসেন বেঙ্গল, আবু নাসের মোহাম্মদ রহমতউল্লাহ, জিনাফের সভাপতি মিয়া মো. আনোয়ার প্রমুখ।