জনপ্রিয় মেসেজিং আদান-প্রদান মাধ্যম হোয়াটসঅ্যাপের উপর ক্ষেপেছেন ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী। আর এতেই বন্ধ করে দেয়ার জন্য চেষ্টা চলছে মেসেজিং আদান-প্রদানের এ প্লাটফর্মকে। সম্প্রতি বিশ্বমিডিয়ার বরাতে জানা গেছে, বৃটেনে হোয়াটসঅ্যাপকে নিষিদ্ধ করতে ইন্টারনেট নির্ভর বার্তা দেয়া-নেয়ায় জড়িত সকল অ্যাপ্লিকেশনকে আনা হচ্ছে ব্রিটেনের কঠোর আইনের আওতায়। এটি  সফল হলে খুব শিগগরই ব্রিটেনে নিষিদ্ধের তালিকায় পড়তে পারে হোয়াটসঅ্যাপ। 

হোয়াটসঅ্যাপের উন্নত নিরাপত্তা ব্যাবস্থার কারণে এর ব্যবহারকারীর কোন বিষয়ে আড়ি পেতে পাঠোদ্ধার করা সম্ভব হয় না। অর্থাৎ হোয়াটসঅ্যাপ তার ব্যবহারকারীকে ব্যক্তিগত তথ্য সংক্ষণের ক্ষেত্রে পূর্ণ নিরাপত্তা দিয়ে থাকে। এমনকি হোয়াটসঅ্যাপ কর্তৃপক্ষদের হাতেও সেটি জানার সুযোগ থাকে না। আর এতেই চটেছেন ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী ডেভিট ক্যামেরুন।

চলতি বছরের শুরুর দিকে এ বিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন ডেভিড ক্যামেরুন। মিডিয়ার সম্মুখে সবার কাছে প্রশ্ন ছুড়ে দেন। তিনি বলেন, ‘অনলাইন সেবা মাধ্যমগুলোর দ্বারা জনগন যে বার্তা আদান-প্রদান করে থাকে তার কোন বিষয় ব্রিটিশ কর্তৃপক্ষ উদ্ধার করতে পারে না। আর বৃটেনের ক্ষেত্রে এমনটি কি হতে দেয়া যায়? বৃটেন সরকার চায়না অনলাইন মেসেজ আদান-প্রদানের ক্ষেত্রে কোন নজর দারি না থাকুক।’ 

বর্তমান ক্যামেরুন সরকার ইনভেস্টিগেটরি পাওয়ার বিল নামে বৃটেনে যে আইন রয়েছে তার আওতায় আনতে যাচ্ছে হোয়াটসঅ্যাপ এবং এ জাতিয় অনলাইন বার্তা আদান-প্রদান মাধ্যমগুলোকে।

এরপর বিষয়টি উথাপন করা হবে পার্লমেন্টে। এখান থেকে বিলটি পাশ হয়ে এলেই নিষিদ্ধের তালিকায় নাম উঠে আসবে বৃটেনে জনপ্রিয়তার তালিকায় থাকা হোয়াটসঅ্যাপ, আইমেসেজ এবং স্ন্যাপচ্যাটের মত বার্তা আদান-প্রদানকারী অ্যাপ্লিকেশনগুলো।

 

আপনি আরো পড়তে পারেন

চলতি বছরেও কর্মী ছাঁটাই করবে মাইক্রোসফট

ফুজিফিল্মের নতুন প্রিন্টার ক্যামেরা

মুখমণ্ডল হবে পাসওয়ার্ড

Stay ahead of the curve with the latest news and insights on technology, mobile computing, laptops, and outer space. Our team of expert writers brings you in-depth analysis of the latest trends and breakthroughs, along with hands-on reviews of the newest gadgets and devices. From the latest smartphones to the mysteries of the cosmos, we've got you covered.